Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভাঙছে অফিস, বাংলার ছবি দেখছে সিপিএম

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর শনিবার বিকাল থেকেই রাজ্যের নানা জেলায় সিপিএমের নানা স্তরের শতাধিক কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে উদয়পুরের জেলা কমিটির দফতরও আছে।

বিজয়-মিছিলে: ত্রিপুরায় জয়ের পরে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেব। ছবি: পিটিআই

বিজয়-মিছিলে: ত্রিপুরায় জয়ের পরে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেব। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪০
Share: Save:

পরিবর্তনের পরে বাংলার ছবিই যেন ফিরে আসছে ত্রিপুরায়! সে বার ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পরে রাজ্যের নানা প্রান্তে সিপিএমের কার্যালয় ভাঙা পড়়ছিল, অভিযুক্ত হয়েছিল তৃণমূল। ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম জমানার শেষ হতেই একই অভিযোগ বিজেপি-র দিকে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর শনিবার বিকাল থেকেই রাজ্যের নানা জেলায় সিপিএমের নানা স্তরের শতাধিক কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে উদয়পুরের জেলা কমিটির দফতরও আছে। পরিবহণ-সহ বেশ কিছু ইউনিয়নের কার্যালয় দখল হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ। বিদায়ী জমানার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র করের নেতৃত্বে সিপিএমের একটি প্রতিনিধিদল আজ ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি এ কে শুক্লের কাছে গিয়ে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা রোখার দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মানিকের ইস্তফা, আপাতত কাজ চালাতে বললেন তথাগত

কলকাতায় সিপিএমের বাংলা রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, মানুষের রায় তাঁরা মেনে নিয়েছেন। কিন্ত হিংসার পথে বামপন্থীদের শেষ করা যাবে না। বাম কর্মীরা প্রতিরোধ গড়়ে তুলেই লড়়াইয়ে থাকবেন। সুজন চক্রবর্তীর মতো বঙ্গ সিপিএমের নেতারা মন্তব্য করেছেন, ২০১১ সালে পরিবর্তন হতেই যা কাণ্ড হয়েছিল, ত্রিপুরায় তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও বিজেপি ও তৃণমূলের অদ্ভুত মিল বলে তাঁদের দাবি! বিজেপির-র ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব অবশ্য দলের কর্মীদের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE