প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর থেকে নিস্তার পেতে এক ঘুষিতে পুলিশকর্তার নাক ফাটিয়ে জেলে গেলেন স্বামী! জেলবন্দি হয়ে কোনও আফসোস নেই, বরং তাঁর দাবি, বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবন কাটছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরের শিপ্রা থানায়।
কী ঘটেছিল ওই দিন?
শিপ্রা থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, ঘটনার দিন সকালে আচমকাই গোলয়া নামে ওই ব্যক্তি থানায় এসে হাজির হন। ‘আমি আমার স্ত্রীকে পিটিয়েছি। আমাকে জেলে দিন। আমাকে ওমার স্ত্রীর হাত থেকে নিস্তার দিন’— বলে কান্না জুড়ে দেন। তাঁর পিছন পিছন যোগেশের স্ত্রীও থানায় আসেন। তিনিও স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাম রহিমের ডেরায় সাধ্বীনিবাসেই সুড়ঙ্গের মুখ!
থানায় তখন এসিপি দেশরাজ যাদবও ছিলেন। যোগেশ এবং তাঁর স্ত্রীর কাণ্ড দেখে তিনি বুঝে যান নেহাতই দাম্পত্য কলহ। তাই যোগেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পরিবর্তে তিনি মিটমাটের জন্য তাঁদের বোঝাতে শুরু করে। যোগেশের কাঁধে হাত রেখে এসিপি তাঁকে বোঝাচ্ছিলেন। যোগেশ কিন্তু জেলে যেতে নাছোড়। সেই সময়েই এসিপি-র নাকে সজোরে একটা ঘুষি চালিয়ে বসেন যোগেশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এসিপি-র নাক ফেটে রক্ত ঝরছিল। ঠোঁট দুটো ফুলে গিয়েছিল। তবে তা নিয়ে যোগেশের কোনও হেলদোল ছিল না। বরং নিজের জেলেযাত্রা নিশ্চিত করতে পেরে খুশিই ছিলেন তিনি। যোগেশের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা এবং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসিপি যাদব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy