মণিপুরের সেনাপতি জেলায় লেইসাং গ্রামে আলো জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন গোটা দেশের সব গ্রাম আলোকিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই ‘আলোর দাবি’-র পিছনে জমাট অন্ধকারটি তুলে ধরল সেনাপতি জেলারই দু’টি গ্রাম, চাকা ও কাংজেং। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বিদ্যুদয়নের নামে প্রহসন চলেছে। সরকারি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দায়ে, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা এক দিন গ্রামে এসে সৌর প্যানেল ও বাল্ব বিতরণ করে যান। কোনও-কোনও ঘরে দেওয়ালে হাতুড়ি ঠুকে, তার বসিয়ে, ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সেই বাল্ব। কিন্তু আলোর দেখা পাননি গ্রামবাসীরা।
নাগাল্যান্ডের পেরেন জেলা ঘেঁষা, লিয়াংমেই নাগা উপজাতি অধ্যূষিত চাকা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, গত ২৩ মার্চ সরকারি লোকেরা এসে গ্রামে ২০টি সৌর বাতি বিতরণ করেছিলেন। কিন্তু তখন আলো জ্বলেনি। বলা হয়, সৌর প্যানেলে চার্জ কম আছে। কয়েক দিন সূর্যের আলো পড়লেই সব বাল্ব জ্বলে উঠবে। কিন্তু আলো জ্বলা দূরে থাকা একটি বাদে সব ক’টি সৌর প্যানেল বিকল হয়ে গিয়েছে।
জেলাসদর থেকে ১৩১ কিলোমিটার দূরে চাকা ও ৭০ কিলোমিটার দূরে কাংজাং গ্রামে ট্রাক ছাড়া যোগাযোগের উপায় নেই। বর্ষায় ভরসা পায়ে চলা পথ। চাকা গ্রামে ৭৫টি পরিবারের বাস। এক সময়ে ওই গ্রাম ছিল ইংরেজ সেনাবাহিনীর ‘ট্রানজিট’ শিবির। বহির্বিশ্বের সঙ্গে চাকার যোগসূত্র এখনও ইংরেজ আমলে তৈরি বেইলি ব্রিজ। সবচেয়ে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রাম থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে। এ হেন চাকার গ্রামসভার সম্পাদক নামচাম পামেই বলছেন, ‘‘সৌরবিদ্যুতের হাত ধরে উন্নয়নের খানিকটা আশা দেখেছিলাম। সবই বিফল হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েছিলাম গত ২৩ এপ্রিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy