যেন পাখি! একেবারে পাখির মতোই এ বার দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে উড়ে যাওয়া যাবে মাত্র ৫৫ মিনিটে। বেলার দিকে বেহালা থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতেও যার থেকে সময় লাগে অনেক বেশি! আর আকাশে নয়, পাখির মতো অত দ্রুত ‘উড়ে’ যাওয়া যাবে ট্রেনে। হ্যাঁ, যেখানে নির্ধারিত সময়ের দেড়-দু’দিন পর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছয় কোনও এক্সপ্রেস, সেই ভারতে ওই অসম্ভব দ্রুত গতির ট্রেনের দৌলতে এ বার দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে ‘উড়ে’ যাওয়া যাবে মাত্র ৫৫ মিনিটে! ওই বিশেষ ধরনের ট্রেনের নাম- ‘হাইপারলুপ ট্রেন’। এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানেও ওই দূরত্ব অত কম সময়ে পেরনো যায় না। ওই ট্রেন চালুর ব্যাপারে মঙ্গলবার রেলমন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক হল ‘হাইপারলুপ-ওয়ান’ সংস্থার। অসম্ভব দ্রুত গতির ট্রেন চালাতে ওই বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে রেল মন্ত্রক। কী ভাবে তা সম্ভব, তা হাতেনাতে দেখিয়েছেনও বেসরকারি সংস্থাটির কর্তারা।
কী ভাবে তা সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই ট্রেনটি চালানো হবে এমন একটি টিউবের মধ্যে দিয়ে, যাতে কোনও বাতাস থাকবে না। বাতাস বা ‘এয়ার’ না থাকায় সামনের দিকে এগোতে গেলে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না বলে ওই ট্রেন অত দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে। তাই এটাকে বলা হয় হাইপারলুপ ট্রেন।
ওই ট্রেনে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই ৩৩৪ কিলোমিটার পথ পেরতে সময় লাগবে ২০ মিনিট।
বেঙ্গালুরু থেকে তিরঅনন্তপুরম ৭৩৬ কিলোমিটার পথ পেরতে সময় লাগবে ৪১ মিনিট।
জয়পুর, ইনদওর হয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই ১ হাজার ৩১৭ কিলোমিটার পথ পেরতে সময় লাগবে ৫৫ মিনিট।
বেঙ্গালুরু হয়ে মুম্বই থেকে চেন্নাই ১ হাজার ১০২ কিলোমিটার পথ পেরতে সময় লাগবে ৫০ মিনিট।
বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই ৩৩৪ কিলোমিটার পথ পেরতে সময় লাগবে ২০ মিনিট।
এই হিসেবে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে সময় লাগার কথা এক ঘণ্টার একটু বেশি।
আরও পড়ুন- আগামী বছরেই চাঁদের কাছে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে মাস্কের স্পেস-এক্স
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy