নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরল। বিজেপি ছাড়ার বেশ কিছু দিন পর তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়াকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজোৎ সিংহ সিধু। পঞ্জাবের উন্নতির জন্যই যে তাঁর এই ‘ঘর ওয়াপসি’, সে কথাও সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রবিবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর এ দিন প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিধু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসি পরিবারে আমার জন্ম। আমি আজন্ম কংগ্রেস। তাই এটা ঘর ওয়াপসি ছাড়া আর কিছু নয়।’’ সিধু যাই বলুন না কেন, পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী করার শর্তেই যে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তা রাজনৈতিক মহলের কাছে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। পঞ্জাবে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অমরেন্দ্র সিংহকে তুলে ধরেছে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এই অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধেই বিজেপি-র হয়ে অমৃতসর আসনের জন্য লড়ার কথা ছিল সিধুর। যদিও সেই আসনে পরে অরুণ জেটলিকে প্রার্থী করে বিজেপি। তিনি যদিও হেরে যান। পরে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে বিজেপি-র সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন সিধু।
শোনা যাচ্ছে সিধুর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে নাকি তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন অমরেন্দ্র। দু’জনের সম্পর্ক যে খুব ভাল তেমনটাও নয়। এর আগে পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ সিধুকে ‘ক্লাউন’ ও তাঁর দল ‘আওয়াজ-এ-পঞ্জাব’কে ‘জোকার পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হলে সেই অমরেন্দ্র সিংহের কর্তৃত্বেই সিধুকে কাজ করতে হবে। তিনি কি তাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন? জবাবে পোড় খাওয়া খেলোয়াড় সিধু বলেন, ‘‘লালু এবং নীতিশ যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারেন তা হলে আমরা পারব না কেন?’’ এর পরেই তিনি জানান, লড়াইটা আসলে ব্যক্তিগত নয়, পঞ্জাবের জন্য। পঞ্জাবের যাবতীয় অবনতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল এবং তাঁর পরিবারের দুর্নীতিকেই দায়ী করেন সিধু। কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ভাগ বাদল ভাগ।’’
পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি সিধুকে নিয়ে আরও এক জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। অমরেন্দ্র সিংহের ছেড়ে আসা অমৃতসরের সাংসদ পদের উপনির্বাচনেও লড়তে পারেন তিনি। নির্বাচনের মুখে সিধুকে দলে নিয়ে কংগ্রেস আসলে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলতে চেয়েছে। নতুন ইনিংস বিজেপিকে কতটা ব্যাকফুটে ফেলে দেয় এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ছিন্নভিন্ন তারা, আগুনের গোলা তীব্র গতিতে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy