Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘ঘুষ নিয়ে যে সময়টার কথা বলা হচ্ছে, তখন লন্ডনে ছিলাম’, দাবি আস্থানার

সিবিআই ঘুষ-কাণ্ডের তদন্তকারী মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরির কাছে আস্থানা এই যুক্তিই দিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি চ্যানেল। 

রাকেশ আস্থানা। —ফাইল চিত্র।

রাকেশ আস্থানা। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দিল্লিতে বসে ব্যবসায়ী সানা সতীশ বাবুর সঙ্গে দর-কষাকষি করে প্রায় ৩ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সিবিআইয়ের ছুটিতে যাওয়া স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার দাবি, যে সময়টার কথা বলা হচ্ছে, তখন তিনি আদতে ছিলেন লন্ডনে। সিবিআই ঘুষ-কাণ্ডের তদন্তকারী মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরির কাছে আস্থানা এই যুক্তিই দিয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি চ্যানেল।

সতীশ বলেছিলেন, ২০১৭-র ১৫ বা ১৬ ডিসেম্বর তিনি দুবাইয়ে থাকাকালীন সোমেশ প্রসাদ নামে এক ব্যক্তি ‘আস্থানা’র সঙ্গে নিজের কথোপকথন তাঁকে ফোনে শোনান। সোমেশ তখন দাবি করেছিলেন, তিনি আস্থানার দিল্লির অফিসেই রয়েছেন। এরও আগে, ২ থেকে ১৩ ডিসেম্বর সোমেশ ও তাঁর ভাই মনোজের মাধ্যমে ফোনে দর কষাকষির পরে তিনি এক সিবিআই শীর্ষ কর্তার কাছে প্রায় ৩ কোটি টাকা পাঠান বলেও দাবি সতীশের। প্রসাদ ভাইদের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলের ছবি দেখার পরে ইন্টারনেট ঘেঁটে তিনি ওই অফিসারকে আস্থানা বলে চিনতে পারেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

কিন্তু আস্থানার দাবি, সোমেশের সঙ্গে তাঁর দেখাই হয়নি। বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণ মামলার শুনানির জন্য ওই গোটা সময়টাই তিনি লন্ডনে ছিলেন। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলবে। বস্তুত, পুরনো প্রতিবেদনের সূত্রে চ্যানেলটিও বলেছে যে, অন্তত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত লন্ডনেই ছিলেন আস্থানা। ৩ ডিসেম্বর দিল্লি ছেড়েছিলেন তিনি।

সতীশের দাবি, মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির টাকা নয়ছয় মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। ২০১৭-র ২ ডিসেম্বর দুবাই গিয়ে সোমেশ-মনোজের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

এক ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল দেখিয়ে দু’জনে দাবি করেন, সিবিআইয়ের এই শীর্ষ কর্তা (আস্থানা) সতীশকে বাঁচিয়ে দেবেন। সতীশের দাবি, এর পরে ফোনে ওই ‘অফিসার’ তাঁর কাছে ৫ কোটি টাকা চান। ১ কোটি টাকা দেওয়া হয় দুবাইয়ে। ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা দিল্লি প্রেস ক্লাবে হাতবদল হয় ১৩ ডিসেম্বর। তার পরে ১৫-১৬ নাগাদ সোমেশ দিল্লি থেকে সতীশকে ফোন করে বলেন, তিনি আস্থানার অফিসে বসে রয়েছেন।

সতীশের এই বিবৃতির ভিত্তিতেই আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করে বর্তমানে ছুটিতে যাওয়া সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার টিম। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদন্তকারী কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের সামনেও সেই বিবৃতিতে অনড় রয়েছেন সতীশ। আস্থানার দাবি, বর্মাই ঘুষ নিয়েছেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা সতীশের থেকে। আস্থানা ও বর্মা, দু’জনের সঙ্গেই মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার কথা বলেছেন বলে জানায় চ্যানেলটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE