বিতর্কের মেঘ যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না মোদী সরকারের উপর থেকে। সুষমা-বসুন্ধরা নিয়ে এমনিতেই কেন্দ্রের নাজেহাল অবস্থা। দিন কয়েক আগে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবিসের বিরুদ্ধে। আর এ বার প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর বিরুদ্ধে। এবং বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করে মন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়াল বিমান মন্ত্রক।
ঘটনাটি অবশ্য দিন কয়েক আগের। গত ২৪ জুন লেহ থেকে দিল্লি ফিরছিলেন কিরেণ। অভিযোগ, সেই সময়ে বিমানের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও প্রায় এক ঘণ্টা সেটি দাঁড়িয়ে ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অপেক্ষায়। শুধু তা-ই নয়, কিরেণ এবং তাঁর আপ্ত সহায়কের জন্য জায়গা করে দিতে এক শিশু-সহ জনা তিনেক যাত্রীকে নামিয়েও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বিষয়টি ‘জানা নেই’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। মুখে কুলুপ এঁটেছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষও। তবে ঘটনাটি যে ঘটেছিল তা মেনে নিয়েছেন খোদ রিজিজু। তাঁর দাবি, বিমানটির ছাড়ার কথা ছিল ১১টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু বিশেষ কোনও কারণে কর্তৃপক্ষ সেটিকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিমানটি যে আগে ছাড়বে, সেই খবর আমার কাছে আগাম ছিল না। ফলে আমি পূর্ব নির্ধারিত সময়েই বিমানবন্দরে পৌঁছাই।” তবে তাঁকে জায়গা করে দিতে কোনও যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তাঁর অজানা বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। “আমার জন্য কোনও যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনিনি। তবে তা যদি হয়ে থাকে, সেটি একেবারেই ঠিক হয়নি”— দাবি মন্ত্রীর। এমনকী যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কিরেণের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের উপ মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংহ। তাঁর কথায়, “মন্ত্রী জেড প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাঁর নিরাপত্তার জন্যই জনা তিনেক যাত্রীকে সে দিন নেমে যেতে বলা হয়েছিল। তবে কাউকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়নি। যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছিল মাত্র।” বিমানটিকে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগেও উড়িয়ে দিয়ে কিরেণের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন নির্মল। “বিমানটি যান্ত্রিক কারণেই কিছুক্ষণ আগে ছাড়ছিল। এমনকী বিমানটি দিল্লি পৌঁছয় নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগে”— জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের উপ মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy