প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো আইসিএসই দশম এবং আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণিরও কিছু পরীক্ষা মাঝপথে বন্ধ রাখা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার দিন পড়েছে জুলাইয়ে। তবে আইসিএসই দশম এবং আইএসসি দ্বাদশের বাকি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক থাকছে না। ওই সব পরীক্ষা আদৌ দেবে কি না, সেই বিষয়ে পড়ুয়ারাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানিয়েছে আইসিএসই বোর্ড।
একটি নির্দেশিকা জারি করে আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানান, আইসিএসই দশম এবং আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা ঐচ্ছিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে না-চায়, তা হলে সে ওই সব পরীক্ষা না-ও দিতে পারে। সে-ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া স্কুলের প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় ওই বিষয়ে যে-নম্বর পেয়েছে, সেটাই গণ্য হবে। প্রি-বোর্ড পরীক্ষার নম্বর বা বাকি পরীক্ষায় বসা— পড়ুয়াকে যে-কোনও একটি বেছে নিতে হবে। কোন পরীক্ষার্থী কী সিদ্ধান্ত নিল, আইসিএসই অনুমোদিত স্কুলগুলির তরফে সেটা ২২ জুন বেলা ১২টার মধ্যে বোর্ডকে জানাতে হবে।
বাকি পরীক্ষাগুলিকে ঐচ্ছিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন? করোনায় মহারাষ্ট্র পর্যুদস্ত। এই অবস্থায় ওই রাজ্যের এক পড়ুয়ার অভিভাবক বম্বে হাইকোর্টে মামলা করে জানান, তাঁর ছেলে এই আবহে আইসিএসই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষা বাতিল করা হোক। বম্বে হাইকোর্ট সেই মামলায় আইসিএসই বোর্ডের কাছে জানাতে চায়, এই বিষয়ে তাদের মতামত কী? বোর্ড জানায়, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পরেই বোর্ড আইসিএসই দশম এবং আইএসসি দ্বাদশের বাকি পরীক্ষাগুলি ঐচ্ছিক করার প্রস্তাব দিয়ে জানায়, পরীক্ষার্থী বাকি পরীক্ষা দিতে পারে অথবা স্কুলের প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বেছে নিতে পারে। সেই নম্বরই বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর হিসেবে গণ্য হবে। আইসিএসই বোর্ড অনুমোদিত কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষ সোমবার জানান, ২২ জুনের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। তাই পরীক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে, তারা যেন ২০ তারিখের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেয়। পরীক্ষার্থীদের মতামত জেনে স্কুল ২২ তারিখের মধ্যে বোর্ডকে তা জানাবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: যেখানে যেমন অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নিদান?
২ জুলাই থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা শুরুর কথা। কী ভাবছেন শিক্ষামন্ত্রী? ‘‘বাকি পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সর্বভারতীয় বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা সে-দিকে নজর রাখছি,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy