প্রতীকী ছবি
করোনা আবহে বদলে যাচ্ছে লাল কেল্লায় চিরাচরিত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে (কারণ ১৫ অগস্টের মধ্যে দিল্লিতে সংক্রমণ কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই) সমারোহ অনেকটাই ছেঁটে ফেলতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বারের মতো এ বার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ করা সম্ভব হবে না। খুব বেশি হলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার জন্য উপস্থিত থাকবেন সব মিলিয়ে হাজার খানেক মানুষ, গত বারে যা ছিল প্রায় দশ হাজার। গত বছর বক্তৃতার পরে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গিয়ে হাত মিলিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার সঙ্গে লড়াই করে যাঁরা ফিরে এসেছেন এবং যাঁরা উদয়াস্ত সংক্র্মণ ঠেকাতে লড়াই করছেন, এ বারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের ‘করোনা বিজয়ী’ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই করোনা-জয়ীদের মধ্যে থাকবেন দিল্লির প্রায় পাঁচশো জন পুলিশকর্মী। অন্য রাজ্য থেকেও এ রকম কিছু করোনা-জয়ীর আসার কথা রয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত বারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভিআইপি এনক্লোজারে উপস্থিত ছিলেন প্রায় এক হাজার জন। এ বারে সেই সংখ্যা সর্বোচ্চ দুশো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গত বছরে লাল কেল্লা থেকে দেওয়া বক্তৃতায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের বিষয়টিতে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দ্বিতীয় দফার সরকারের তিন মাসের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছিলেন। সূত্রের খবর, এ বারের বক্তৃতায় প্রাধান্য পেতে চলেছে করোনার বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের লড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy