Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সেপ্টেম্বর থেকেই চালু ‘মোদী কেয়ার’

আপাতত দশ কোটি গরিব পরিবারকে এই বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, ক্রমে ক্রমে দেশের সব নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারও এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘৫০ কোটি মানুষ মানে কানাডা, আমেরিকা ও মেক্সিকো বা ইউরোপের মোট জনসংখ্যা।’’ 

লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—পিটিআই

লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৪০
Share: Save:

নির্বাচনের আগে শেষ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই ‘আয়ুষ্মান ভারত বা সকলের জন্য চিকিৎসা’ প্রকল্পটি ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন। সে দিন থেকেই ওই প্রকল্প চালু করা হবে। মোদীর কথায়, ‘‘দারিদ্রের যূপকাষ্ঠে পড়ে রয়েছেন যে সব গরিব দেশবাসী, তাঁদের পক্ষে অনেক সময়েই ঠিক মতো চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তাঁদের জন্যই এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে।’’

মোদী বলেন, ‘‘দেশের সব গরিব মানুষ, সব সাধারণ মানুষ, যাতে কঠিন অসুখ হলে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পান, তার জন্যই এই প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন দশ কোটি পরিবার, অর্থাৎ ৫০ কোটি মানুষ। পরিবারপিছু বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে এই সাহায্য পেলে এক জন গরিব মানুষকে মহাজনের কাছে চড়া সুদে টাকা ধার নিতে হবে না। বা সেই ধার চোকাতে সর্বস্ব বিক্রি করতেও হবে না।’’

আপাতত দশ কোটি গরিব পরিবারকে এই বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, ক্রমে ক্রমে দেশের সব নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারও এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘৫০ কোটি মানুষ মানে কানাডা, আমেরিকা ও মেক্সিকো বা ইউরোপের মোট জনসংখ্যা।’’

মোদীর দাবি, এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে প্রতিটি গরিব মানুষ সহজেই এই বিমার সুযোগ-সুবিধে পান।’’ তিনি জানান, ৫ অগস্ট থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে ২৫ সেপ্টেম্বর যখন প্রকল্পটি চালু করা হবে, তখন যেন কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি না থাকে। এই প্রকল্পের ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও হবে বলে জানান মোদী। ‘টিয়ার ২’ ও ‘টিয়ার ৩’ শহরে নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হবে। ফলে বিশাল সংখ্যক মানুষ চাকরির সুযোগ পাবেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, একটি আম্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট বলছে যে, গত দু’বছরে পাঁচ কোটি বাসিন্দা দারিদ্রসীমার উপরে উঠেছেন। এই প্রকল্পও দেশের দারিদ্র দূর করতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE