Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দেশ চালাতে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে পাক, রাষ্ট্রপুঞ্জে বলল ভারত

রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের মুখের উপর জবাব দিল ভারত। উড়িয়ে দিল পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দাবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৫ ১১:১৮
Share: Save:

রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের মুখের উপর জবাব দিল ভারত। উড়িয়ে দিল পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দাবি।

ভারতের তরফে স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হল, সন্ত্রাসবাদকে দেশ চালানোর বৈধ হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করে চলেছে ইসলামাবাদ। তার ছাপ কতটা পড়ে পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির উপর, তা গোটা বিশ্ব দেখে চলেছে। এই ভাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জে আজ সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কার্যত, আজ তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধিদলের ফার্স্ট সেক্রেটারি অভিষেক সিং।

কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে নওয়াজ শরিফের বাতলে দেওয়া ‘চার পয়েন্ট’ ফর্মুলার উত্তরেই পাকিস্তানকে এক হাত নিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসের পীঠস্থান বলে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে গত কালই টুইট করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। চার দফা প্রস্তাবের মধ্যে নিঃশর্ত ভাবে কাশ্মীর এবং সিযাচেন থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং ২০০৩ সালের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলার কথা বলেছেন নওয়াজ। ভারতের কড়া জবাব, সেনা প্রত্যাহার নয়, বরং কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে জঙ্গিদের হঠাতে মন দিক পাকিস্তান। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বলি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন নওয়াজ। তারও জবাব বেশ কড়া ভাবেই দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এ দিন টুইট করে বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসের বলি নয়, সন্ত্রাসের পীঠস্থান। সন্ত্রাসবাদীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় যোগান দেয় তারা।’’ কাশ্মীরের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের তুলনা করে নওয়াজ বলেছিলেন, “বিদেশি শক্তির হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ।” পাল্টা টুইটে বিকাশের দাবি, “বিদেশি শক্তির কথা বলে নওয়াজ ঠিকই বলেছেন। আর তাঁর সেই সূত্রেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ‘বিদেশি’ পাকিস্তানের অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত।”

এই সংক্রান্ত আরও খবর:

কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে নওয়াজের নিজস্ব ফর্মুলা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE