Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তিক্ততা কাটাতেই চিনের সঙ্গে কথা

বেজিং-এর মতে, তাতে জট ছাড়ানোর প্রক্রিয়া গতি পাবে। নয়াদিল্লি মনে করছে, এমন হলে চিন তাদের সুবিধা মতো আলোচনার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮
Share: Save:

ডোকলাম নিয়ে তিক্ততাকে কিছুটা লঘু করতে আগামিকাল সীমান্ত-বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত-চিন। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন চিনের ‘স্টেট কাউন্সিলর’ ইয়াং জিয়েচি। তবে কাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় সীমান্ত সমস্যার নাটকীয় বদল আসবে বলে মনে করছে না সাউথ ব্লক। যদিও বৈঠকের আগে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুইনং আজ যে বার্তা দিয়েছেন, তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি।

সেপ্টেম্বরে ব্রিকস দেশগুলির আলোচনা চলাকালীন পার্শ্ববৈঠকে ঠিক হয়েছিল, নয়াদিল্লিতে ডোভাল ও জিয়েচির বৈঠক হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং তখন একমত হন যে ডোকলামের ৭৩ দিনের অচলাবস্থা শুধু সীমান্তেই নয়, অন্যত্রও সমস্যার সৃষ্টি করছে। এই টানাপড়েনে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি বাণিজ্য, অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষার মতো বিষয়েও চাপের মধ্যে পড়ছে। বেজিং ভারতের বিরাট বাজার হারাতে চায় না— তা মোদীকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শি। সেই বৈঠকের পরে মোদী-শি যৌথ ভাবে জানিয়েছিলেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়াতে আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’’ বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ‘‘আগামিকালের বৈঠকে কিছু নতুন আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই বৈঠকে চিন তাদের পুরনো প্রস্তাবটিই ফের টেবিলে রাখতে চাইছে। এই সূত্রটি যদিও সব সময়েই পাশ কাটিয়ে গিয়েছে ভারত। প্রস্তাবটি হল, একসঙ্গে গোটা সীমান্তের বিষয়ে আলোচনা না করে, অরুণাচল, লাদাখ ও সিকিম— তিনটি এলাকাকে আলাদা ভাবে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা। বেজিং-এর মতে, তাতে জট ছাড়ানোর প্রক্রিয়া গতি পাবে। নয়াদিল্লি মনে করছে, এমন হলে চিন তাদের সুবিধা মতো আলোচনার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE