Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

সন্ধিক্ষণে ভারত— দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার

রাহুল গাঁধীর ‘সংবিধান বাঁচাও অভিযান’ নেহরুর ভারতের পুনরুত্থান করানোর একনিষ্ঠ চেষ্টা। নেহরুর সেই ভারতবর্ষ যা ‘বিভেদের মাঝে ঐক্যের’ বাণী প্রচার করে। একই উদ্দেশ্যে শরদ পওয়ার মুম্বাইয়েও ‘সংবিধান বাঁচাও অভিযান’-এর আয়োজন করেছিলেন।

উজ্জ্বলকুমার চৌধুরী এবং সুনয়ন ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৮ ১১:৫৭
Share: Save:

২০১৪এর লোকসভা ভোটে প্রথমবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বিজেপি সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। আজকের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মৌলিক প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতের অর্থনৈতিক এবং আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কি সম্পূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন না সামান্য অদলবদলই দেশের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে সমর্থ। ডানপন্থী শাসকশ্রেণি চাইছে ভারতবর্ষের একটি নতুন রূপ উদ্ভাবন করতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনই একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে চাইছেন, যা নেহরুর ভারতবর্ষ থেকে একেবারেই আলাদা। এই পরিপ্রেক্ষিতে, রাহুল গাঁধীর ‘সংবিধান বাঁচাও অভিযান’ নেহরুর ভারতের পুনরুত্থান করানোর একনিষ্ঠ চেষ্টা। নেহরুর সেই ভারতবর্ষ যা ‘বিভেদের মাঝে ঐক্যের’ বাণী প্রচার করে। একই উদ্দেশ্যে শরদ পওয়ার মুম্বাইয়েও ‘সংবিধান বাঁচাও অভিযান’-এর আয়োজন করেছিলেন।

ডানপন্থী পুনরুদ্ভাবন এবং পুনঃসৃষ্টি লবি

আজকে ডানপন্থীরা উজ্জীবিত এবং আগ্রাসী। কেন্দ্রে এবং অনেকগুলো রাজ্যে আসীন ডানপন্থী সরকার। তাই নতুন করে ভারতবর্ষকে সৃষ্টি করার একটি প্রয়াস দেখা যাচ্ছে। এই লবি বিশ্বাস করে, প্রাচীন ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ২৫০ বছরের একটানা আক্রমণে পর্যুদস্ত। এই দীর্ঘ সময়ের ১৮০ বছর ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে এবং বাকি ৭০ বছর ধ্বংস করেছে ইংরেজ ঔপনিবেশিকতাবাদের দালালেরা। তাই তাঁরা এই পুনঃসৃষ্টিকে সংশোধনরূপে দেখছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ভারতবর্ষের অবদান ছিল ২৭ শতাংশ, যা ১৯৫০ সনে নেমে দাঁড়ায় ৩ শতাংশে।

১৮৩৫ সনে মেকলের শিক্ষা নীতি অনুযায়ী ভারতবর্ষে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এই নীতির ফলে স্থানীয় ভাষায় শিক্ষিত লোকেদের মনে স্থায়ীভাবে হীনমন্যতা রোপিত হয়। এই একই ইংরেজিভিত্তিক শিক্ষানীতি ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে নেহরুর ভারতেও সচল রাখা হয়। এতে পাশ্চাত্যের প্রতি একটা চিরকালীন দাসত্ববোধ সৃষ্টি হয়। দেশ দারিদ্রের সাথে লড়াই করতে করতে একটি ভুল সমাজতন্ত্রের শিকার হয়ে পড়ে।

সত্যিকারের বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ব্যবসা এই জন্য পিছিয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি আজকের দিনে অচল। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতবর্ষের প্রগতি নেহরুনীতির জন্য হয়নি, হয়েছে নেহরুনীতি সত্বেও।

ডানপন্থী লবি মনে করে, ভারতীয়রা নিজেদের সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে না, যে ভাবে তাঁদের দেখা প্রয়োজন। বসুধৈব কুটুম্বকমের (অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বটাই একই পরিবারের অধীন) মাধ্যমে সার্বজনীন অধ্যাত্মবাদ এবং ভ্রাতৃত্ব ভারতের প্রাচীন দর্শনশাস্ত্রেই প্রোথিত। কালিদাসের সঙ্গে শেক্সপীয়রের তুলনা সম্ভব কিন্তু করা হয় না। ঋষি অরবিন্দের ভারতীয় সংস্কৃতির ওপরে বক্তৃতা আজও সমান ভাবে প্রযোজ্য। ভারতবর্ষের সভ্যতা সম্পর্কে ধারণাসমূহ আজকে সংযুক্ত রাষ্ট্রের ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ’ –এর মধ্যে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু এই বিষয়ে না আমরা জানি, আর না আমরা গর্বিত।

আরও পড়ুন: হরিদ্বারে চিতাভস্ম বিসর্জন বাজপেয়ীর

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিদেশি সাহায্যের প্রয়োজন আমাদের ছিল, কিন্তু সেই প্রয়োজন এখন ফুরিয়েছে। আজকে আমরা নিজেদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য নিজেরাই ধার্য করবো। প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স অনুমান করছে, ২০৫০ নাগাদ চার লক্ষ ৬০ হাজার কোটি ডলারের ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের পিছনে থাকবে। শুধু চিন থাকবে ভারতের আগে। তাই স্ব-অস্বীকারে বেঁচে কী লাভ?

এই পুনঃসৃষ্টি লবি বিশ্বাস করে, ভারতবর্ষে যা কিছু সত্য, তার একটি বিরুদ্ধ সত্যও আছে। ভারতবর্ষের ধারণা একক কেন হবে? কেন ভারতবর্ষকে সহস্র ধারণাতে বিভক্ত করা যাবে না? সংবিধান আমাদের আচরণবিধির একটা প্রতিচিত্র মাত্র এবং তা-ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল। ১৯৪৭ সালে কি এই ভারতবর্ষই সৃষ্টি হয়েছিল ? সেই দেশকে কি একই ভাবে একই পরিবার একই বইয়ের নামে দিনের পর দিন শাসন করে যাবে?

আরও পড়ুন: ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ফেরাতেই কি সিধু-চাল দিল্লির?

নেহরুপন্থী পুনরুদ্ধার লবি

নেহরুপন্থী লবি এই নতুন ভারতের দৃষ্টান্তকে চ্যালেঞ্জ করছে। তাঁদের কথা হচ্ছে, এই ডানপন্থী লবির জন্য সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে, সাম্প্রদায়িকতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে অত্যাচার করছে, গোরক্ষা সংক্রান্ত হিংসা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে, বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হচ্ছে এবং নারীদের ওপরে ক্রমাগত আক্রমণ হয়ে চলেছে। তাই এই লবি চাইছে নেহরুর দেখানো রাস্তাতে ফিরে যেতে এবং অম্বেডকর প্রণীত সংবিধানকে তার বিদ্যমান রূপে সংরক্ষিত করতে। এই লবি চায় সব জাত এবং সব সম্প্রদায় যেন একইসঙ্গে ভারতবর্ষকে শাসন করে।

এদের কথা হচ্ছে, যেখানে পাকিস্তান ধ্বংসের মুখে, সেখানে ভারতবর্ষ কিন্তু প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে। এর মূলে রয়েছে ভারতবর্ষের প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দ, যাঁরা ভারতীয় সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। ১০১টা সংশোধনীর পরেও এই সংবিধান ভারতের রাজনৈতিক পরিকাঠামোর মূলে। এই সংবিধানের জন্যই ভারত অনেকগুলো ঐতিহাসিক বিরোধকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। আজও ভারতবর্ষে আইন সর্বোচ্চ। বিচারব্যবস্থা এখনো স্বাধীন, ক্ষমতার সঠিক বিভাজন ও সাম্য রয়েছে, সমাজতন্ত্র আজও অবিসংবাদী এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এখনও যথেষ্ট শক্ত – সব কিছুই হয়েছে একটি শক্তিশালী সংবিধানের জন্য। কিন্তু আজ সব কিছুই ডানপন্থী চিন্তাধারার শিকার হতে চলেছে।

বলা হয় যে ভারতীয় সংবিধান উপজাতীয় আকাঙ্খা এবং আঞ্চলিক চাহিদা সত্বেও এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। নেহরুর ভারত আবিষ্কার সর্বৈব আধ্যাত্মিক। তিনি সংবিধানের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির এবং আধুনিক শাসনতন্ত্রের মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন। ভারতে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানমনস্কতার বিস্তারের জন্য নেহরু যথেষ্ট কাজ করেছিলেন। কিন্তু আজ বিজ্ঞান আক্রান্ত। এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডারউইনের মতবাদকে ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ-ও শোনা গিয়েছে, আন্তর্জাল বৈদিক যুগেও ছিল এবং গনেশ প্লাষ্টিক সার্জারির সাহায্যে নিজের চেহারা পরিবর্তন করেছিলেন।

এই পুনরুদ্ধার লবির মতে ভারতীয় ভাবনা চক্রাকার, পাশ্চাত্য ভাবনার মতো রৈখিক নয়। তাই ভারতীয় ভাবনায় নানান মতের সংমিশ্রণ ঘটে। তাই অতীত দিয়ে ভারতীয় ভাবনাকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। গত ৮০০ বছর ধরে নানান বিদেশি আক্রমণ ভারতের সংস্কৃতিকে আরও বৈচিত্রময় এবং সমৃদ্ধ করে তুলেছে। এই সাংস্কৃতিক বহুত্বই ভারতীয় ধারণার মূলে। কেন্দ্রীভূত ডানপন্থী চিন্তাধারা এই ভারতীয় ধারণার মূলে আঘাত করে। পুনঃসৃষ্টি রৈখিক ভাবে চলে। তাই পুনঃসৃষ্টি ভারতীয় সত্যকে ঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারে না। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ভারতীয় ভাবধারা সত্যের আপেক্ষিকতায় বিশ্বাস করে।

পুনরুদ্ধার লবি মনেপ্রাণে বহুত্ব, বৈচিত্র এবং সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশ্বাস করে, বিশ্বাস করে যে একমাত্র সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিই পারে ভারতকে বিকাশের পথে নিয়ে যেতে। তাই ভারতবর্ষের পুনরুদ্ভাবন এবং পুনঃসৃষ্টি সম্ভব নয়। পুনরুদ্ধার লবির ঐতিহাসিকেরা বলেন, ১৯২৩ সালে সাভারকারের হিন্দুত্ববাদী পথকে খারিজ করে নেহরুর বৈচিত্রপূর্ণ পথকে বেছে নেওয়া হয়। সাভারকরের পিতৃভূমি এবং পুণ্যভূমির ধারণা প্রকারান্তরে জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্বকেই সমর্থন করে, যা ১৯৪২ সালে প্রস্তাবিত। এই তত্ত্বকেও ভারতীয় জনসাধারণ খারিজ করেছিল এবং ধর্মনিরপেক্ষ ‘হিন্দুস্তান’কে মেনে নিয়েছিল। স্বাধীন ভারতের প্রতিষ্ঠাতারা মনের জানালা খুলে রাখতেই উপদেশ দিয়েছিলেন।

তৃতীয় পন্থা: ভারত সত্তার পুনর্গঠন

ভারতবর্ষে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান জনগোষ্ঠী বাস করে। তাই ভারতবর্ষ নিশ্চয়ই হিন্দু রাষ্ট্র হতে পারবে না। ভারতবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রায় সাত শতাংশ। তাই আমাদের দেশের পাশ্চাত্য দেশগুলোর কাছে মাথা নত করারও প্রয়োজন নেই। ভারতবর্ষে প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ ২৫ বছর বয়েসের নীচে এবং প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ ৩৫ বছর বয়েসের নীচে। তাই কর্মক্ষম লোকের সংখ্যাও ভারতবর্ষে সবচাইতে বেশি। ফলে আমাদের দেশকে এখন বিশ্বের প্রতিভা-রাজধানী বলা যেতে পারে।

রাজস্থানে শম্ভুলাল রেগার দ্বারা সংগঠিত নারকীয় হত্যা বা জম্মুতে আসিফার বিকৃতকাম ধর্ষণ এবং হত্যাকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না। ঠিক একই ভাবে সংখ্যালঘুকে গুরুত্ব দেওয়ার নামে মুসলমান, দলিত এবং আদিবাসীদের শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে রাখারও পক্ষাবলম্বন করা যায় না। সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের আসলে কোনো বিকাশই ঘটে নি।

তাই ভারত নামক সত্তার পুনর্গঠন প্রয়োজন, যা হবে নিশ্চিত ভাবে দরিদ্রকেন্দ্রিক। বিকাশকে তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে, আত্মনির্ভরতা বাড়াতে হবে, মাটির কাছে ফিরে যেতে হবে এবং সহনশীলতার বীজ বপন করতে হবে। নতুন ভারতবর্ষে সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রয়োজন যেখানে ধর্ম একান্তই একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। ধর্মসংক্রান্ত সব দ্বন্দ্বকেই আইনের সাহায্যেই মেটাতে হবে।

আরও পড়ুন: বাঙালির বিপদ বাড়ছে

এই পুনর্গঠিত ভারতে বঞ্চিত মানুষের জন্য শক্তপোক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এস স্বামীনাথন কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী কৃষি বস্তুর জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করতে হবে। জঙ্গল এবং আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। নির্ভয়া আইন অনুযায়ী মহিলাদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সম্পর্কে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কর্মীদের জন্য ন্যূনতম বেতন ধার্য করতে হবে।

না ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন। না আস্ফালন না পরিবারতন্ত্রের প্রয়োজন। ভারত নামক ধারণাকে নতুন করে সৃষ্টি করতে হবে। আজকের পরিবর্তিত আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন একটি বিকাশমুখী নীতির যা নিরপেক্ষ হবে। একনায়কতন্ত্র সমর্থনকারী নেতা বা বিবাদে ফেঁসে থাকা রাজনৈতিক দল – এই দুটোই আমাদের জন্য সমান ভাবে বর্জনীয়।

(দুই লেখক শিক্ষাবিদ। এখানে প্রকাশিত অভিমত সম্পূর্ণভাবেই লেখকদের নিজস্ব।)
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE