নির্মলা সীতারামন
ভারতীয় মিগের সঙ্গে লড়াইয়ে ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানি এফ-১৬ বিমানের পাইলটের পরিচয় দিল্লি জানে বলে দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে পাল্টা হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। সেই লড়াইয়ে ধ্বংস হওয়া ভারতীয় মিগ বিমানের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে পাক সেনার হাতে বন্দি হন। পরে তাঁকে ফেরৎ দেয় পাকিস্তান। ভারতের তরফে দাবি করা হয়, অভিনন্দনের মিগের সঙ্গে লড়াইয়ে একটি পাক এফ-১৬ বিমান ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তান পাল্টা দাবি করে, ওই অভিযানে কোনও এফ-১৬ ব্যবহারই করেনি তারা।
কিন্তু ধ্বংস হওয়া এফ-১৬ বিমানের পাইলটের পরিচয় নিয়ে এত দিন মুখ খোলেনি দিল্লি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে় দাবি করেন, অভিনন্দন বর্তমানের মতোই ওই পাক পাইলটও সে দেশের বায়ুসেনার এক প্রাক্তন মার্শালের ছেলে। আজ একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীই দু’জন পাইলটের কথা বলেছিলেন। এক জন পাইলটকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভারতে ফেরৎ পাঠিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় পাইলট কে?’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নির্ভর করতে চাই না। কিন্তু আপনারা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন পাক বায়ুসেনার এক প্রাক্তন মার্শাল নিজেই দু’জন পাইলটের কথা বলছেন।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ‘‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেই কথা বলতে চাই। ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তি যাচাই করিনি। কিন্তু ওই দাবি সত্যি না মিথ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। ওই পোস্টে দু’দেশের দুই এয়ার মার্শালের ছেলের কথা বলা হয়েছে। তাঁরা দু’জনেই দক্ষ পাইলট। দু’জনের বিমানই পাকিস্তানি এলাকায় ভেঙে পড়েছিল। এক জন ফিরলেন। অন্য জনের কী হল?’’ এর পরেই তিনি বলেন ‘‘সত্যিটা হল ওই পাক পাইলটকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভারতীয় পাইলট ভেবে মারধর করেছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আমার মনে হয় তিনি আর বেঁচে নেই।’’ বিষয়টি নিয়ে আরও প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ওই পাইলটের পরিচয় আমরা জানি। পরে তা প্রকাশ করাও হতে পারে।’’
এফ-১৬ ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে ভারতের তরফে ‘আমরাম’ ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি অংশ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা হয়। ভারতীয় সামরিক বাহিনী দাবি করে, ‘আমরাম’ ক্ষেপণাস্ত্র কেবল এফ-১৬ বিমানেই ব্যবহার করা যায়। রাজৌরি থেকে পাওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রের অংশই এফ-১৬ ব্যবহারের প্রমাণ। এ ছাড়া কোন বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে তা ভারতীয় বায়ুসেনার রেডার থেকে পাওয়া বৈদ্যুতিন প্রমাণ থেকেও বোঝা যায়। কেবল সন্ত্রাস-দমন অভিযানে ব্যবহারের জন্যই পাকিস্তানকে এফ-১৬ বিক্রি করেছে আমেরিকা। পাকিস্তান যে সেই চুক্তি ভেঙেছে, তা বোঝাতে ওয়াশিংটনকেও ওই সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছে দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy