এক-দু’বছর নয়, সার্বিক শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অর্ধশতক পিছিয়ে রয়েছে ভারত। ইউনেস্কোর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০-এর মধ্যে সর্বজনীন শিক্ষার যে সময়সীমা রাখা হয়েছে তা পূরণ করতে এ দেশের সময় লাগবে আরও পঞ্চাশ বছরের বেশি। ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বে সর্বজনীন সেকেন্ডারি শিক্ষার লক্ষ্য স্থির হয়েছে। ওই রিপোর্টের দাবি, এই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে শিক্ষায় বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন করতে হবে ভারতকে।
ইউনেস্কোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিএএম)-এর নয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের মতোই শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অধিকাংশ দেশ। সকলের জন্য প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার লক্ষ্য মেটাতে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সময় লাগবে যথাক্রমে ২০৫১, ২০৬২ এবং ২০৮৭ সাল। ভারতের সময় লাগবে যথাক্রমে ২০৫০, ২০৬০ ও ২০৮৫ সাল।
তবে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সবটাই খারাপ হিসেবে দেখানো হয়নি এই রিপোর্টে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের পাঠ্যসূচি লক্ষ করলে দেখা যায় যে, তাতে পরিবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থাটা অনেক আশাপ্রদ। এ দেশের প্রায় ৩০ কোটি স্কুলপড়ুয়া পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পায় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দেশে মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সাক্ষরতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলিতে যার হার ভারতের থেকে মাত্র এক শতাংশ বেশি। শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের বৈষম্য মেটাতে বিভিন্ন দেশে সরকারি স্তরে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন
বৃষ্টি থামলেও জলে ভাসছে কলকাতা, হাওড়ায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy