নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
নববর্ষের সকালে ফের জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে তাঁর ঘোষণা করা ২১ দিন লকডাউনের মেয়াদ। তবে শনিবার মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ন’টি রাজ্য ইতিমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ সপ্তাহ দুয়েক বাড়িয়েও দিয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার বক্তৃতায় মোদী গোটা দেশে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রের অভিমত।
তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও এ বার কিছু শিল্পকে ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর। বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সোমবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সেই নির্দেশিকা তৈরির কাজ চলেছে। চলতি লকডাউনে শুধু খাদ্য ও অত্যাবশ্যক পণ্য, জরুরি পরিষেবায় ছাড় ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উন্নয়ন দফতরের সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেছেন, ‘যথেষ্ট সুরক্ষাকবচ রেখে আরও কিছু কাজে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। মানুষের হাতে নগদ আসবে’। রবি ফসল কাটার মরসুম এবং তার পরে তা বিক্রির কথা মাথায় রেখে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিও একই দাবি তুলেছে।
মোদী শনিবার বলেছিলেন, এখন সরকারের মন্ত্র, ‘জান ভি, জহান ভি’। অর্থাৎ, জীবন ও জীবিকা দুই-ই। সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী শিল্প-নগরীগুলিতে কারখানায় উৎপাদন শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে কর্মীদের ঢোকা-বেরোনোর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শারীরিক পরীক্ষার শর্তও দেওয়া হবে। নির্মাণ শিল্পে কাজের জায়গাতেই শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থা করে কাজকর্ম শুরু করা যেতে পারে। চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি তৈরির শিল্পকে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হতে পারে। চটের বস্তার চাহিদার কথা মাথায় রেখে ছাড় দেওয়া হতে পারে চটকলগুলিকে। এ রাজ্যের পক্ষে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: স্তব্ধ অর্থনীতি, কিছু কল কারখানা দ্রুত খুলতে সওয়াল শিল্পমন্ত্রকের
আরও পড়ুন: কাজ নেই=পয়সা নেই আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত
ছোট-মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের বক্তব্য, বহু সংস্থা রফতানির বরাত পেয়েছে। তাদের কর্মীসংখ্যা বেঁধে কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হোক। গাড়ি, বস্ত্র, বৈদ্যুতিন শিল্প ও এসইজেডগুলিতে কর্মীসংখ্যা বেঁধে দিয়ে কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে।
ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিজের নিজের রাজ্যে ফেরানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। একটি প্রস্তাব হল, বিভিন্ন শহরের মধ্যে ‘নন স্টপ’ ট্রেন চালানো। তাতে চড়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে আসতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তবে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, করোনার প্রাদুর্ভাব থাকা রাজ্য থেকে এ ভাবে শ্রমিকদের ফেরানো হলে তাঁদের মাধ্যমে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যাবে। নবান্নের তরফে অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো সম্ভাবনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy