নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চার বছর হল থমকে রয়েছে সার্ক সম্মেলন। ইসলামাবাদের হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও এ বছরও হচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির সম্মেলন। সরকারি শীর্ষ সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
২০১৪ সালে শেষ বার সার্ক-এর আসর বসে নেপালে। কথা ছিল, ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সম্মেলন হবে। কিন্তু সে বছর উরিতে পাক জঙ্গি হামলার পর সাউথ ব্লক জানিয়ে দেয় সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। ২০১৭ সালেও একই হাল। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘সীমান্ত সন্ত্রাস এবং সমন্বয় সাধনের আলোচনা একই সঙ্গে চলতে পারে না। সার্ক হওয়ার জন্য যোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’’ সার্ক-এর আইন অনুসারে ৮টি দেশের একটিও যদি সম্মেলনে যোগ না দেয়, তা হলেই তা বাতিল হয়ে যায়। অতীতে কার্গিল যুদ্ধের পর অটলবিহারী বাজপেয়ীও ইসলামাবাদের সার্ক বয়কট করেন।
সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলির দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এই মঞ্চ ভারত-পাক মল্লযুদ্ধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যখন যেখানে সার্ক হয়েছে, সেখানেও গোটা আলোচনা এবং প্রচার কেন্দ্রীভূত হয়েছে ভারত-পাক সম্পর্ক ঘিরে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানের মতো দেশ স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ।
গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খকন আব্বাসি নেপালকে অনুরোধ করেছিলেন, সার্ক সম্মেলন ফের শুরু করার জন্য ভারতকে বোঝাতে। কিন্তু নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির সাম্প্রতিক সফরে নরেন্দ্র মোদী নিজে বলেছেন, এখন সার্ক সম্মেলন করা সম্ভব নয়। ইসলামাবাদ এ দিকে সার্ক সম্মেলন করে নিজেদের ভাবমূর্তি কিছুটা মেরামত করতে চায়— এমনও মনে করছে ভারত। বিদেশসচিব বিজয় গোখলে জানিয়েইছিলেন, ‘‘নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে মোদী বলেছেন যে তিনি ২০১৪ সালে প্রবল উৎসাহে কাঠমান্ডু সার্ক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন এই অঞ্চলে ধ্বংসাত্মক শক্তি কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy