Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শান্তি চাই, তাই ভারতের ডুবোজাহাজকে ছাড়: পাকিস্তান

বালাকোটে বায়ুসেনার হানা এবং তার পরে আকাশে দু’দেশের যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ের পরে ইমরান খানের সরকার বোঝাতে চাইছে, ভারত সীমান্তে আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছে।

পাক সংবাদ মাধ্যমে দেখানো একটি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

পাক সংবাদ মাধ্যমে দেখানো একটি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৪:০৬
Share: Save:

পাকিস্তানের এলাকায় ভারতীয় নৌসেনার ডুবোজাহাজ ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করল ইসলামাবাদ। সেই দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

বালাকোটে বায়ুসেনার হানা এবং তার পরে আকাশে দু’দেশের যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ের পরে ইমরান খানের সরকার বোঝাতে চাইছে, ভারত সীমান্তে আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছে। ভারতের যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান শান্তি চাইছে। তারা সীমান্তে ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী। তাই ভারতের যুদ্ধবিমানের পাইলটকে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছে।

এই সুর ধরে রেখেই আজ পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের একটি ডুবোজাহাজ পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল। তা ধরা পড়ে গেলেও, পাকিস্তানের সেনা ভারতের ডুবোজাহাজে নিশানা করেনি। কারণ, পাকিস্তান শান্তি চায়। পাকিস্তানি নৌসেনার দাবি, তারা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ডুবোজাহাজটিকে পিছু হটতে বাধ্য করে। এর আগে ২০১৬-তেও পাকিস্তান একই ভাবে ভারতের একটি ডুবোজাহাজকে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢোকার সময় ধরে ফেলে আটকে দিয়েছিল বলে পাক-নৌসেনার দাবি। আজকের অভিযোগ প্রমাণে পাকিস্তান একটি ভিডিয়ো ফুটেজও প্রচার করেছে। পাকিস্তানের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, পাকিস্তান আসলে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ থেকে নজর ঘেরাতে চাইছে। ভারতকে যুদ্ধবাজ হিসেবে দেখানোর কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। এ সব তারই অঙ্গ। ওই ভিডিয়ো ফুটেজটি আদতে ২০১৬-র বলে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি।

শুধু ডুবোজাহাজ নয়। পাক সেনা ভারতের একটি সুখোই যুদ্ধবিমান মাটিতে নামিয়েছে বলেও প্রচার করছে। তাকেও মিথ্যে প্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বায়ুসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি বায়ুসেনা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ‘আমরাম’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তা ঠেকানো হয়। সেই আমরাম মিসাইলের ভগ্নাবশেষ জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির পূর্ব দিকে মিলেছে। কোনও সুখোইয়ের ক্ষতি হয়নি।

নৌসেনা সূত্রের খবর, দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় স্করপেন সাবমেরিন পাক জলসীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা পাকিস্তানের এলাকায় ঢোকেনি। কারণ ঢুকলে পাকিস্তান যে ক্ষেপণাস্ত্র দাগবে, তা জানা কথা। নৌসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারতের সমুদ্র এলাকা সুরক্ষিত রাখতে নৌসেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভুল তথ্য ছড়িয়ে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নৌসেনা তাতে গুরুত্ব দেয় না। নৌসেনা যেমন মোতায়েন রয়েছে, তেমনই থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE