Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

‘অধিকার নেই মুখ খোলার’, রিপোর্ট নিয়ে কড়া ভারত

গত ২১ জুন প্রকাশিত  আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন বিদেশ দফতরের একটি রিপোর্টে ২০১৭ সালের একাধিক ধর্মীয় হানাহানির ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এ ধাঁচের হিংসার ঘটনা ভারতের মতো বহু ধর্ম, ভাষাভাষী ও বিবিধ সংস্কৃতির দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রটিকে ক্রমশ ছোট করে ফেলছে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০১:৪৫
Share: Save:

গত কাল দলের পক্ষ থেকে খারিজ করা হয়েছিল। আজ মাঠে নামল সরকার। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টে ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিসরটি ক্রমশ কমছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। আজ বিদেশ মন্ত্রক সরকারি ভাবে জানাল, ভারতের নাগরিকেরা কেমন রয়েছেন তা নিয়ে মুখ খোলার অধিকার নেই কোনও বিদেশি সরকার বা সংস্থার।

গত ২১ জুন প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন বিদেশ দফতরের একটি রিপোর্টে ২০১৭ সালের একাধিক ধর্মীয় হানাহানির ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এ ধাঁচের হিংসার ঘটনা ভারতের মতো বহু ধর্ম, ভাষাভাষী ও বিবিধ সংস্কৃতির দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রটিকে ক্রমশ ছোট করে ফেলছে। ধর্মের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে উগ্র জাতীয়তাবাদ। কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা অহিন্দু ও দলিতদের হিংসা, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে গেরুয়াকরণের পথে হাঁটছে। রিপোর্টে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে গো-রক্ষার নামে চলা হিংসা-হানাহানিকে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের মতো দশটি রাজ্যে ধর্মের নামে হিংসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই সব রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব মুসলিম ও দলিতেরা গো-মাংস বিক্রি ও চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের উপরে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু ২০১৭ সালেই গো-রক্ষার নামে হত্যা করা হয়েছে দশ জনকে। ‘ঘরে ফেরানোর’-র নামে চালু রয়েছে ধর্মান্তরণও। ভারতে ওই ধর্মীয় অস্থিরতা সৃষ্টির পিছনে বিজেপির কিছু নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। রিপোর্টের শেষে বলা হয়েছে এ দেশে সংখ্যালঘু সমাজের উপরে হামলা ও তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার ঘটনা বেড়ে চলায় আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনে ‘উদ্বেগজনক রাষ্ট্র’-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে ভারত।

গত কালই বিজেপি ওই রিপোর্টের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আজ ওই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, ‘‘ভারত তার ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ের জন্য গর্বিত। এ দেশের সংবিধান ভারতের সংখ্যালঘু সমাজ-সহ সমস্ত নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করে। গোটা বিশ্বই মনে করে ভারতে গণতন্ত্র রয়েছে এবং এ দেশের সংবিধান সমস্ত ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের গণতান্ত্রিক সরকার ও আইনের শাসন সংবিধানের সেই মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত রাখে।’’ রভিশ আরও বলেন, ‘‘তাই ভারতের নাগরিকদের সাংবিধানিক ভাবে সুরক্ষিত অধিকার নিয়ে কোনও বিদেশি সরকার বা সংস্থার মন্তব্য করার অধিকার নেই।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India US report Religious freedom
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE