দিল্লিতে দলের ওবিসি সম্মেলনে রাহুল গাঁধী। সোমবার। পিটিআই
প্রণব মুখোপাধ্যায় আরএসএসের মঞ্চে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস। আজ সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবতকে প্রবল আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। রাহুল গাঁধীর দেওয়া প্রথম ইফতারে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করা নিয়েও দিনভর জল্পনা চলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাহুল গাঁধী প্রণববাবুকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান। কংগ্রেসের দাবি, তা গ্রহণও করেছেন প্রণববাবু।
আরএসএসের লোকেরাই গাঁধীকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করায় রাহুলের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রে মামলা হয়েছে। আগামিকাল মহারাষ্ট্রের আদালতে হাজিরা দেবেন তিনি। তার আগে দিল্লিতে দলের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সংক্রান্ত (ওবিসি) সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মোহন ভাগবতকেও এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, আরএসএস সম্পর্কে কংগ্রেসের অবস্থানে এক চিলতেও বদল হয়নি।
দিল্লিতে দলের ওবিসি সম্মেলনে রাহুল আজ বলেন, ‘‘কংগ্রেস জনতাকে বাসে চাপিয়ে চাবি তাদের হাতে দিয়ে দেয়। আর বিজেপি জনতাকে বাসে চাপিয়ে আরএসএসকে চালাতে বলে। আরএসএস বিভাজনে নেমে পড়েছে। গোটা দেশটি এখন নরেন্দ্র মোদী আর মোহন ভাগবত চালাচ্ছেন।’’ রাহুলের দাবি, দেশ এক রকম নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও মোহন ভাগবতের গোলাম হয়ে গিয়েছে। পুরো বিরোধী শক্তি এককাট্টা হচ্ছে। জনতা নিজেদের শক্তি দেখিয়ে তাঁদের বলবে, তিন জনকে দিয়ে দেশ চলবে না।
আরও পড়ুন: মোদীকে খোঁচা, রাহুলের অস্ত্র ম্যাক-কোক!
রাহুলের দেওয়া প্রথম ইফতারে প্রণববাবুকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে জল্পনা চলে দিনভর। প্রথমে কংগ্রেস জানায়, দলের অনুষ্ঠান বলেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, এমনকি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাহুল গাঁধীর ডাকা সনিয়া গাঁধীর ‘ফেয়ারওয়েল পার্টি’তে হাজির ছিলেন প্রণব, আনসারি। সেটিও ছিল দলেরই বৈঠক। পরে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান নাদিম জাভেদ বলেন, ‘‘কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, তা আহমেদ পটেল ও গুলাম নবি আজাদ চূড়ান্ত করছেন। আগামিকাল রাতের মধ্যে সেটি চূড়ান্ত হবে।’’ শেষ পর্যন্ত রাহুল নিজেই ফোন করে প্রণববাবুকে আমন্ত্রণ জানান। কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রণববাবুর আরএসএসের মঞ্চে যাওয়া নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষের বাধা কাটিয়ে রাহুল নিজেই ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রণববাবুকে।
আজ দুপুরে এআইসিসি দফতরে কংগ্রেসের সেবাদলের বৈঠকেও যোগ দেন রাহুল। সেখানেও বলেন, ‘‘আরএসএস ধর্ম, জাতিভেদ ও লিঙ্গবৈষম্যে বিশ্বাসী। সংবিধান ও সাংবিধানিক সংস্থার স্বাধীনতাও তারা খর্ব করতে চায়।’’ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘ঠিক যে ভাবে আরএসএস আসলে নেপথ্যে থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে সাহায্য করে, সেবাদলও সেই ভূমিকা নিতে পারে কংগ্রেসের জন্য।’’ তাঁর দাবি, আরএসএসের কালো টুপি বনাম সেবাদলের সাদা টুপির লড়াই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy