ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার থেকে ভারত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনলেও, তা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে না। ভারতকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার পথেই এগোচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ মিলে একটি খসড়া আইন তৈরি করেছে। সেই আইনি ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই, ভারতের মতো ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাষ্ট্র রাশিয়ার থেকে যুদ্ধাস্ত্র কিনলেও মার্কিন প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না। ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পরে ২০১৭-র মাঝামাঝি ‘নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমেরিকার শত্রুর মোকাবিলা আইন’ তথা ‘কাটসা’ জারি করে ওয়াশিংটন। এর লক্ষ্যই ছিল, মার্কিন সহযোগী রাষ্ট্রগুলিকে রাশিয়ার থেকে যুদ্ধাস্ত্র কিনতে বাধা দেওয়া।
নয়াদিল্লি অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছে, মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হবে। ওই চুক্তি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমেরিকাকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এ বার মার্কিন প্রশাসন নিজেই সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে জেনে বিদেশ মন্ত্রকের বিশ্লেষণ, সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রী স্তরে ভারত-মার্কিন বৈঠকের আগে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সুষমা স্বরাজ, নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেয়ো ও প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতকে এই ছাড় পাইয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রশাসনের তরফে ম্যাটিস নিজে তৎপর হয়েছিলেন। আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নভতেজ সারনার নেতৃত্বে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকরাও।
কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, ভারত প্রতিরক্ষার দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়লে ক্ষতি আমেরিকারই— মার্কিন প্রশাসন সেটা বুঝতে পেরেছে। কারণ, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিন দাপট দেখাতে চাইছে। সেখানে ভারতকে দুর্বল করাটা আমেরিকার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
একই কারণে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy