বেতন আর পেনশনের বিপুল খরচ ক্রমশ আরও বাড়ছে। তাই এ বার সেনাবাহিনীর আকার কমানোর প্রস্তাব দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। বললেন, বিপুল সৈনসংখ্যা জরুরি নয়। বাহিনীর আকার কমিয়ে সেনাকে আরও পারদর্শী করে তোলার উপর জোর দেওয়া উচিত।
প্রায় বেনজির সুপারিশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। স্বাধীনতার সময় থেকেই ভারত যে ধরনের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন, তাতে সেনাবাহিনীর আকার কমানোর কথা কখনওই ভাবেনি সরকার। বছর বছর বাজেটে প্রতিরক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এই প্রথম কোনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বাড়তে থাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। মনোহর পর্রীকর বলেছেন, ‘‘সেনার মেদ কমাতে হবে। আমি সেনাবাহিনীকে বলেছি সেই সব এলাকা চিহ্নিত করতে, যেখানে কর্মী কমানো সম্ভব।’’ তিন বাহিনীতেই কর্মী সঙ্কোচনের প্রয়োজন বলে পর্রীকর মন্তব্য করেছেন। তাঁর সুপারিশ, স্থলবাহিনী থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হোক। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মন্তব্য, রাতারাতি কিছু হবে না। এর জন্য সময় লাগবে।
আরও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্ডার-সি মিসাইল ছুড়তে চলেছে ভারত
এই আর্থিক বছরে তিন বাহিনীর বেতন দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের খরচ হয়েছে ৯৫ হাজার কোটি টাকা। বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বেতন দিতে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। পেনশন নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের আন্দোলন এবং দর কষাকষির জেরেই খরচ হঠাৎ করে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি। বেতন ও পেনশন কাঠামোয় যেভাবে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, তাতে এত বড় বাহিনী রাখা কঠিন। বলছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। বেতন ও পেনশন মিটিয়ে সেনার সরঞ্জাম কেনার জন্য খরচ করা গিয়েছে মাত্র ৮০ হাজার কোটি টাকা। পর্রীকর চান স্থলবাহিনী, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীতে কর্মী সংখ্যা কমানো হোক। তার বদলে আরও আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে এবং প্রত্যেক সৈনিকের দক্ষতা আরও বাড়িয়ে বাহিনীকে আরও ‘স্মার্ট’ করে তোলা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy