ইরফান আহমেদ জ়ারগার
আইএস সমর্থক সন্দেহে আটক করা হয়েছিল দুবাইয়ে। দু’দেশে বেশ কয়েক দফা জেরার পরে অবশেষে আগামিকাল মুক্তি পেতে পারেন শ্রীনগরের বাসিন্দা ইরফান আহমেদ জ়ারগার।
২০১৪ সালে দুবাইয়ে এক টেলিকম সংস্থায় যোগ দেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ইরফান। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ২০১৭ সালেও দেশে এসেছিলেন বছর ছত্রিশের যুবক। ইদের সময়টা কাটিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দুবাইয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যান তিনি। তাঁর সম্পর্কিত ভাই আমানুল্লাও দুবাইয়ে চাকরি করেন। তিনিই ইরফানের উধাও হওয়ার খবর পরিবারকে জানান।
এর পরে ইরফানের খোঁজে দুবাইয়ে যান তাঁর ভাই আরশিদ আহমেদ জ়ারগার। ভাইয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি দুবাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। অনেক অনুরোধের পরে শারজার থানা অভিযোগ গ্রহণ করে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাহায্য চেয়ে টুইট করেন ইরফানের এক আত্মীয়। সুষমার নির্দেশে ইরফানের খোঁজ শুরু করে দুবাইয়ের ভারতীয় কনসুলেট। মাঝে হঠাৎই এক অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে শ্রীনগরে ইরফানের মার কাছে। তার পরিবারের দাবি, ফোনে ইরফান মাকে জানান তিনি ভাল আছেন। তবে কোথায় আছেন তা তাঁর জানা নেই। পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, ইরফানকে ফোনে ইংরেজি ছাড়া কোনও ভাষায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছিল না।
১৪ অগস্ট ইরফানকে ভারতে ফেরৎ পাঠায় দুবাই প্রশাসন। সরকারি সূত্রে খবর, ইন্টারনেটে ইরফান আইএসের কাজকর্মকে সমর্থন করেছেন বলে মনে করেছিলেন দুবাইয়ের গোয়েন্দারা। তাই তাঁকে আটক করে জেরা করা হয়। ভারতে ফেরার পরে তাঁকে জেরা করে এনআইএ ও অন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার পরে তাঁকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শ্রীনগরের ছান্না মহল্লায় বাড়ি ইরফানের। পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, আগামিকাল তাঁদের জম্মুর যৌথ জেরা কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। সেখানেই আপাতত রাখা হয়েছে ইরফানকে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের মতে, ইরফানকে জেরা করে আইএস যোগের প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁকে আগামিকাল মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy