ফাইল চিত্র।
বিশাখাপত্তনম থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন বিজয় কুমার। মাঝরাস্তা থেকেই জবরদখল হয়ে যায় তাঁর সিট। তাঁকে হঠিয়ে দিয়ে তাঁরই সিট দখল করে নেন এক ব্যক্তি। প্রথমে বুঝিয়ে, পরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেও ওই ব্যক্তিকে সিট থেকে তুলতে পারেননি বিজয়। বাকি রাস্তাটা দাঁড়িয়েই যেতে হয় তাঁকে। বছর চারেক আগের এই ঘটনায় বৈধ টিকিট থাকা সত্বেও যাত্রী হেনস্থা এবং গাফিলতির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ রেলকে ৭৫ হাজার টাকা দ্ওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি রাজ্য কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন। পাশাপাশি ওই দিন ট্রেনে দায়িত্বে থাকা টিকিট পরীক্ষকের মাইনে থেকে এক-তৃতীয়াংশ কেটে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ঘটনাটি ২০১৩ সালের ৩০ মার্চের। বিশাখাপত্তনম থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য দক্ষিণ এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছিলেন বিজয় কুমার। হাঁটুতে ব্যথা থাকায় লোয়ার বার্থ বেছেছিলেন তিনি। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ থেকেই বদলে যায় চিত্রটা।
আরও পড়ুন: নরক কামরা, এসি খারাপ, টুইটারে অভিযোগ করতেই ব্যবস্থা নিল রেল
ট্রেন মধ্যপ্রদেশের বীণা স্টেশনে পৌঁছলে এক অচেনা ব্যক্তি বিজয় কুমারের কামরায় উঠে পড়েন। সোজা গিয়ে বসে পড়েন তাঁর সিটে। বিজয় আপত্তি জানালে ওই ব্যক্তি সেটা তাঁর সিট বলেই দাবি করেন। অথচ তাঁর কাছে ওই সিটের টিকিট ছিল না।বেশ কিছু ক্ষণ এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা চলতে থাকে। কিন্তু কোনওভাবেই ওই ব্যক্তিকে সিট থেকে তুলতে পারেননি বিজয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ট্রেনে কোনও টিকিট পরীক্ষকের সন্ধান পাননি তিনি। উপায়ন্তর না দেখে মধ্যপ্রদেশের বীণা থেকে দিল্লি— এই বাকি রাস্তাটা দাঁড়িয়েই আসতে হয় তাঁকে।
দিল্লি পৌঁছেই কমিশনে এই নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। সেই মামলারই রায় দিল কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy