ফাইল চিত্র।
রেলের প্রতিশ্রুতি ছিল, যাত্রীদের পাতে পরিচ্ছন্নভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে গরমা-গরম খাবার। কিন্তু সংসদীয় কমিটি বলছে, খাতায়-কলমে প্রকল্প ঘোষণাই হচ্ছে। কিন্তু ‘হাতে-গরম’ খাবার আর জুটছে না যাত্রীদের। আর যা জুটছে তা আবার বেশি দামে।
রেলের সংসদীয় কমিটি কেটারিং নীতি নিয়ে যে রিপোর্ট কাল জমা দেয়, তাতে রেল মন্ত্রক ও খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা আইআরসিটিসি-র প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ সালে ঠিক হয়েছিল, প্রতি ৩০০ কিলোমিটার অন্তর একটি করে ‘মেগা বেস কিচেন’ গড়বে রেল। বড় স্টেশনে থাকা ওই বেস কিচেন থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে ট্রেনে।
কিন্তু পাঁচ বছর পরে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ১৬টি কিচেন গড়ার পরিকল্পনা ছাড়পত্র পেয়েছে। তৈরি হয়েছে মাত্র ৫টি। কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এই হাল হলে গরম-গরম খাবার দেওয়া হবে কী করে! কবে সবক’টি কিচেন চালু হবে, ধারণাও নেই রেলকর্তাদের কাছে।’’
দূরপাল্লার অধিকাংশ ট্রেনে (রাজধানী-শতাব্দী-দুরন্ত ছাড়া) ‘প্যান্ট্রি’-র কর্মীরা বেশি দামে খাবার বিক্রি করেন বলে ফি দিন অভিযোগ জমা পড়ে রেলের ঘরে। এও অভিযোগ, খাবারের বিল দিতে অস্বীকার করেন প্যান্ট্রি কর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের মারধরের অভিযোগও জমা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে চলন্ত ট্রেনে আরও বেশি করে খাবার ও জলের বোতলের ভেন্ডিং মেশিন বসানো ও বিক্রেতার হাতে পয়েন্ট সেল টার্মিনাল (পিওএস) মেশিন দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। যাতে যাত্রীরা বিলের বিনিময়ে সঠিক দাম দিয়ে খাবার কিনতে পারেন। এবং দুর্নীতি রোখা সম্ভব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy