মাইক পম্পেয়ো ও জেমস ম্যাটিস
ভারতের সঙ্গে বিদেশনীতি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আসছেন দুই মার্কিন শীর্ষ কর্তা। তার ঠিক আগে পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআই কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপকে আরও তীব্র করতে চাইছে বলে মনে করছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করা সেই কৌশলেরই অঙ্গ।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষ সূত্রের মতে, ৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ও মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসের সফর ঘিরেই ছক কষেছে পাক সেনা-আইএসআই। সে জন্যই পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবারকে নিশানা করা ও অন্য নাশকতামূলক কাজে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনকে। কারণ, লস্করের মতো পাক সংগঠনের চেয়ে হিজবুলের মতো কাশ্মীরি সংগঠনকে ব্যবহার করলে উপত্যকায় ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর তত্ত্ব প্রচার করা অনেক বেশি সহজ।
আজ শ্রীনগরে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। সূত্রের খবর, পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সুরক্ষা ও রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়লেও পঞ্চায়েত ভোট করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন্দ্র। কারণ তাতে তৃণমূল স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ বণ্টনের ব্যবস্থা করা যাবে।
পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্মী ও তাঁদের আত্মীয়দের রক্ষা করতে ‘পঞ্জাব মডেল’ ব্যবহারের কথা ভাবছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের কর্তারা। পঞ্জাবে খলিস্তানি আন্দোলনের সময়েও স্থানীয় পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবারকে নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। তাই আনুষ্ঠানিক বদলির নির্দেশ ছাড়াই পুলিশকর্মীদের নিজেদের এলাকার বাইরে কোনও থানায় বদলি করা হত। সেখানে সাদা পোশাকে কাজ করতেন তাঁরা।
এক প্রাক্তন আধাসেনা কর্তার বক্তব্য, ‘‘স্থানীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যের উপরেই সেনা-আধাসেনার অভিযানের সাফল্য নির্ভর করে। সেই কারণেই পঞ্জাবের মতো জম্মু-কাশ্মীরেও পুলিশকে ক্রমাগত নিশানা করা হচ্ছে।’’ তাঁর মতে, কাশ্মীরেও পুলিশকর্মীদের বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।
সরকারি সূত্রে খবর, কাশ্মীরেও এই ‘পঞ্জাব মডেল’ ব্যবহার নিয়ে শ্রীনগরের কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল বদলের ফলে তা কার্যকর করা হয়নি। তবে পুলিশের উপরে সাম্প্রতিক হামলার পরে সুরক্ষা নিয়ে ফের শীর্ষ স্তরে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy