পিএসএলভি সি-৪৪ রকেট। ছবি সৌজন্যে: ইসরো
কাঠের চেয়ারের চেয়েও হালকা একটা উপগ্রহকে কাঁধে চাপিয়ে বৃহস্পতিবার রওনা হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) অত্যন্ত শক্তিশালী রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল’ বা পিএসএলভি-সি-৪৪। বেসরকারি সংস্থা ‘স্পেস কিডজ’-এর ছাত্ররা অনেক পরিশ্রম করে বানিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা সেই উপগ্রহ। তাই সেই উপগ্রহকে কক্ষপথে পাঠানোর জন্য একটি টাকাও নিচ্ছে না ইসরো। মাত্র দেড় কিলোগ্রাম ওজনের সেই উপগ্রহটির নাম রাখা হয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের নামে। ‘কালামস্যাট’।
পিএসএলভি রকেট একই সঙ্গে কক্ষপথে পৌঁছে দেবে সেনাবাহিনীর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় আরও একটি উপগ্রহকে। যার নাম- ‘মাইক্রোস্যাট-আর’। ওজন ৭৪০ কিলোগ্রাম।
উৎক্ষেপণ প্রায় মধ্য রাতে
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধওয়ন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এই দু’টি উপগ্রহকে কক্ষপথে পৌঁছে দিতে ইসরোর পিএসএলভি রকেটের সফল উৎক্ষেপণ হয় বৃহস্পতিবার, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ।
কী কী কাজ করবে ‘কালামস্যাট’ ও ‘মাইক্রোস্যাট-আর’? দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন- এক মহিলাও যাবেন মহাকাশে, চন্দ্রযান-২ রওনা হবে এপ্রিলে, জানাল ইসরো
আরও পড়ুন- ফসল চাঁদের মাটিতে? রহস্যের জট খোলেনি, বলছেন নাসার বিজ্ঞানী
পিএসএলভি কক্ষপথে পাঠিয়েছিল ‘মঙ্গলযান’ ও ‘চন্দ্রযান-১’কে
ছাত্রদের বানানো বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উপগ্রহ ‘কালামস্যাট’
এই নিয়ে ৪৪.৪ মিটার লম্বা এবং ২৬০ টন ওজনের পিএসএলভির উৎক্ষেপণ হবে ৪৬ বার। এই পিএসএলভির পিঠে চাপিয়েই মঙ্গলের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল ‘মঙ্গলযান’কে। ‘চন্দ্রযান-১’কেও চাঁদ-মুলুকে পাঠিয়েছিল ইসরোর এই পিএসএলভি রকেটই। গত নভেম্বরে এই পিএসএলভির পিঠে চেপেই কক্ষপথে পৌঁছেছিল ভূপর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপগ্রহ ‘হাইসিস’।
সেনাবাহিনীর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপগ্রহ ‘মাইক্রোস্যাট-আর’
রকেটের চতুর্থ স্তরও এ বার কাজে লাগানো হবে
৪টি স্তরের (ফোর স্টেজ) পিএসএলভি রকেটের শেষ পর্যায়টি (ফোর্থ স্টেজ) সাধারণত, আবর্জনার (ডেব্রি) মতো ছড়িয়ে দেওয়া হয় মহাকাশে। কিন্তু এ বারই প্রথম তা হবে না।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান বলেছেন, ‘‘এ বার রকেটের সেই শেষ স্তরটিকেও একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে পাঠানো হবে, গবেষণার জন্য।’’
ছবি ও ভিডিয়ো সৌজন্যে: ইসরো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy