ব্যর্থতার পর সাফল্য। ফাইল চিত্র।
ব্যর্থতার ঠিক দু’সপ্তাহের মাথায় দারুন সাফল্য পেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। কক্ষপথে পাঠানোর পরেও জিস্যাট-৬এ নামের কৃত্রিম উপগ্রহটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যে ধাক্কা এসেছিল, তা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে যেন ইসরো বেরিয়ে এল অনেকটাই।
এ দিন ভোর ৪টে৪ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে আইআরএনএসএস-১আই নামের কৃত্রিম উপগ্রহটিকে নিয়ে মহাশূন্যের দিকে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি ৪১। উত্ক্ষেপণ একশো শতাংশ সফল বলে দাবি করে ইসরো জানিয়েছে,পিএসএলভি-সি ৪১ রকেটে চেপে আইআরএনএসএস-১আই উপগ্রহটি উনিশ মিনিটের মধ্যেই কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভন বলেছেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি। নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম (নেভআইসি)-এর আটটি কৃত্রিম উপগ্রহেরই নির্ভুল উত্ক্ষেপণে আমরা সফল হয়েছি। এই উপগ্রহ সমাবেশ নেভিগেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস তৈরি করবে।’’
নেভআইসি সমাবেশে মোট সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ থাকার কথা। কিন্তু প্রায় সাত মাস সফল ভাবেকাজ করার পর আইআরএনএসএস-১এ নামের উপগ্রহটি বিকল হয়ে যায়। তার জায়গায় আইআরএনএসএস-১আই কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইসরো। ১ হাজার ৪২৫ কেজি ওজনের এই উপগ্রহটিকে ইসরোর সাহায্যে তৈরি করেছে আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
আরও পড়ুন: মুরগি-মাজন বেচেও রোজগার হয়! পথ বললেন নরেন্দ্র মোদী
আরও পড়ুন: সরকারি নিরাপত্তা আর চান না রাবড়ী
ইসরোর নেভআইসি নিয়ে ভারতের বিজ্ঞানী মহলের স্বপ্ন দীর্ঘ দিনের। নেভআইসি অচিরেই মার্কিন জিপিএস ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী আট মাসে গুরুত্বপূর্ণ ন’টি মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান ২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy