Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পাপ্পু পাশে, বিজেপিকে বার্তা দিলেন জিতনরাম

বিধান পরিষদ নির্বাচনে স্বস্তি মিললেও ঘরে-বাইরে আজ অস্বস্তির মুখে পড়ল বিজেপি। এক দিকে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি জানালেন, এনডিএর সঙ্গে ‘সম্মানজনক’ রফা না হলে সমস্ত পথই খোলা থাকছে। অন্য দিকে, বিধান পরিষদের ফল কারও পক্ষে যায়নি বলে বিতর্ক উস্কে দিলেন দলের সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহ।

এক সঙ্গে পাপ্পু-জিতনরাম। ছবি: পিটিআই।

এক সঙ্গে পাপ্পু-জিতনরাম। ছবি: পিটিআই।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৬
Share: Save:

বিধান পরিষদ নির্বাচনে স্বস্তি মিললেও ঘরে-বাইরে আজ অস্বস্তির মুখে পড়ল বিজেপি। এক দিকে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি জানালেন, এনডিএর সঙ্গে ‘সম্মানজনক’ রফা না হলে সমস্ত পথই খোলা থাকছে। অন্য দিকে, বিধান পরিষদের ফল কারও পক্ষে যায়নি বলে বিতর্ক উস্কে দিলেন দলের সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহ। পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে বলেছেন, ‘‘আসন রফা নিয়ে আলোচনা হবে। যদি কারও কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে সকলে মিলে বসেই তার সমাধান খোঁজা হবে।’’

এ দিন সকালে জিতনরামের বাড়ি যান মাধেপুরার সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব। কিছু দিন আগেই ‘জন অধিকার পার্টি’ তৈরি করেছেন পাপ্পু। ঘন্টাখানেক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর দুই নেতা একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন। জিতনরাম বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অনেক বিকল্প আছে।যদি এনডিএর সম্মানজনক রফা না হলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ পাপ্পুর দলের সঙ্গে জোট নিয়ে ২০ জুলাই সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান জিতনরাম। এনডিএ ও আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস জোটের বাইরে গিয়ে তৃতীয় মোর্চা গঠন করে বিহারে লড়াইয়ের ইঙ্গিতও দেন। পাপ্পু যাদব বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার-লালুপ্রসাদের চেয়েও বড় নেতা জিতনরাম। মনে হয় তাঁকেই এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।’’

রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের বক্তব্য, বিধান পরিষদের ফল সামনে আসতেই নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করছেন জিতনরাম, পাপ্পু। জেডিইউ এবং আরজেডিকে পরাজিত করতে তাঁদের অনুগামীদের ভূমিকা যে কাজে লেগেছে, তা প্রমাণ করতে মরিয়া দুই নেতাই। সেই কারণে তাঁরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেদের দাবি জানাতে চাইছেন।

এ দিন পটনায় সাংবাদিক বৈঠকে শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, ‘‘বিধান পরিষদের ফল নিয়ে এত আনন্দের কিছু নেই। সাধারণ মানুষের মনোভাবের ছাপ ওই নির্বাচনে পড়ে না। আনন্দ করার চেয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া ভাল। নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদের জনাধার রয়েছে। তাঁদের হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।’’ বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে তিনি আছেন কি না, সেই জবাব তিনি দিতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সুন্দর মুখ নেই। বুদ্ধিও নেই। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই।’’ এ নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি মঙ্গল পাণ্ডে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE