গেটওয়ে অব মুম্বইয়ের সামনে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ। ছবি: এএফপি।
জেএনইউয়ে হামলার প্রতিবাদে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় সামনে আন্দোলনরত প্রতিবাদীদের বলপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত থেকে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে জমায়েত হওয়া প্রতিবাদীদের মঙ্গলবার সকালে নিকটবর্তী আজাদ ময়দানে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপরই অবশ্য প্রতিবাদীরা জমায়েত তুলে নেন, ঘোষণা করেন প্রচুর মানুষের সাড়া পাওয়া গিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সফল। তাঁরা তখনকার মতো আজাদ ময়দান ছাড়লেও তাঁদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
জেএনইউতে হামলার কিছু পর থেকেই রবিবার মাঝরাতে দক্ষিণ মুম্বইয়ে সমুদ্রের পাশে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় জমায়েত করতে শুরু করেন একদল ছাত্র। জেএনইউ প্রাক্তনী উমর খালিদ এবং কুণাল কামরাও এই প্রতিবাদে অংশ নেন। পড়ুয়া ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদ জমায়েতে অংশ নেন। কিন্তু মুম্বই পুলিশের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রতিবাদ আন্দোলন তখনকার মতো তুলে নেন পড়ুয়ারা। মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের বলপূর্বক গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে থেকে সরানো হয়েছে।
মুম্বই পুলিশের বক্তব্য, গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া মুম্বইয়ের ব্যস্ত এলাকা। প্রতিবাদীরা রাস্তা অবরোধ করায় পর্যটকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। ব্যাহত হচ্ছিল যান চলাচল। সে কারণেই মুম্বই পুলিশ তাঁদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও বাঁচিয়েছিলাম পড়ুয়াদের’
আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের বলপূর্বক ছত্রভঙ্গ করার যে অভিযোগ সামনে এনেছেন, তার উত্তরে মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সংগ্রাম সিংহ নিশানদার বলেন, “অনেকবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে গিয়ে বারবার সমস্যার কথা জানিয়ে কাছেই দু’কিমি দূরে আজাদ ময়দানে চলে যাওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অনেকে নিজে থেকেই সেখানে চলে যান, কিন্তু যাঁরা একেবারেই নাছোড়বান্দা ছিলেন, বাধ্য হয়ে তাঁদের পুলিশই আজাদ ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যায়”।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy