প্রতীকী ছবি।
ইংরেজির অধ্যাপককে ই-মেল করে সুইসাইড নোট। তার পরই লাইব্রেরির ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। আত্মঘাতী ছাত্র ঋষি টমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহি মান্ডভি হস্টেলের আবাসিক। শুক্রবার দুপুরে ওই অধ্যাপকই পুলিশকে ই-মেল সম্পর্কে জানান। তার পরই ঘটনা সামনে আসে। ঋষিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঋষি স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ই-মেল পেয়েই পুলিশে খবর পাঠান ওই অধ্যাপক। দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র আর্য বলেন, ‘‘ওই অধ্যাপকের ফোন পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। দেখা যায়, লাইব্রেরির বেসমেন্টের একটি ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। জানলা দিয়ে নজরে আসে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন ওই ছাত্র। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।’’ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে ঋষির।
দেবেন্দ্র জানিয়েছেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী অফিসারেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। শুরু হয়েছে তদন্ত। সুইসাইড নোট লেখা ওই ই-মেল কোথা থেকে, কখন পাঠানো হয়েছিল, ই-মেলের বয়ান— ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পডু়ন: ‘খবর পেয়েছি, বুথে আমাকে হেনস্থা করবে রত্না’, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাইলেন শোভন
আরও পড়ুন: শুধু পশ্চিমবঙ্গেই কেন হিংসা হচ্ছে, প্রশ্ন করুন মমতাজিকে, তোপ অমিত শাহের
কিন্তু কেন আত্মহত্যা করলেন ঋষি? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও কিছুটা আঁচ পাওয়া গিয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের কথায়। তাঁরা জানিয়েছেন, ঋষির বাড়ির লোকজন এবং হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ফলে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তবে তদন্তকারীদের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় রহস্যজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy