এই অমিত শাহ, অমিত শাহ কী বলা হচ্ছে? সমস্ত নথি বলছে, বিচারক ব্রিজগোপাল লোয়ার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
দুঁদে আইনজীবী হরিশ সালভে তখন রীতিমতো উত্তেজিত। কারণ আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘গোটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এক জনকে বাঁচাতে চাইছে—অমিত শাহ এবং একমাত্র অমিত শাহ।’’
বিচারক লোয়ার মৃত্যুরহস্যে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তা রুখতেই পোড়খাওয়া আইনজীবী সালভেকে দাঁড় করিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তাতে আপত্তি তুলে আজ আইনজীবী দাভে যুক্তি দেন, সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলায় সালভে অমিত শাহের হয়ে লড়েছিলেন। এখন তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সওয়াল করতে পারেন না। চটে গিয়ে সালভে বলেন, ‘‘আপনার উপদেশের দরকার নেই।’’ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।
২০১৪-য় যখন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক লোয়ার মৃত্যু হয়, তখন তাঁর আদালতে গুজরাতে সোহরাবুদ্দিন শেখের ভুয়ো সংঘর্ষের মামলার শুনানি চলছিল। অমিত শাহ ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত। কারণ ওই সময় তিনি ছিলেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোয়ার পরিবার সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, তাঁকে অমিত শাহের তরফে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, লোয়ার মৃত্যুর পর নতুন বিচারক অমিতকে বেকসুর ঘোষণা করেন।
আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়েছে, বিষয়টি ‘গুরুতর’। ‘পক্ষপাতহীন’ ভাবে সমস্ত নথি দেখার পরেই ফের তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বম্বে হাইকোর্টেও একই দাবিতে দু’টি মামলা চলছে। সেই মামলাগুলিও সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘‘যদি কোনও বিচারক মারা যান এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট আমাদের হস্তক্ষেপের দাবি জানায়, তা হলে বিষয়টি আমাদের খতিয়ে দেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নিরপেক্ষ ভাবেই আমরা বিষয়টি দেখব, সেই আশ্বাস দিচ্ছি।’
এই মামলা বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চে পাঠানো নিয়েই প্রবীণ বিচারপতিরা আপত্তি তুলেছিলেন। বিচারপতি মিশ্র নিজেকে মামলা থেকে সরিয়ে নেন। প্রধান বিচারপতি নিজের বেঞ্চেই মামলা নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy