কমল হাসন
দিল্লি এসেছিলেন তাঁর নতুন দলের কাজে। গত কাল গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধীর বাড়ি। আর আজ সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রাজধানীতে থেকেও গেলেন এক রাত। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি নতুন জোটের সন্ধান করছেন দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসন?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চেন্নাই উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের নতুন দল ‘মক্কল নীধি মইয়ম’-এর ঘোষণা করেছিলেন কমল। কিন্তু তাঁর সঙ্গেই এ বার দেখা করেননি কমল। অথচ ক’দিন আগেই কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছিল তাঁর। দিল্লিতে এসে ফের দেখা করলেন রাহুলের সঙ্গে। সেই সময় প্রিয়ঙ্কাও গিয়েছিলেন রাহুলের বাড়িতে। আজ ফের তামিলনাড়ুর রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন সনিয়ার সঙ্গে।
আজ দশ জনপথ থেকে বেরিয়ে কমল বলেন, ‘‘শুধু তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতার থেকেও এঁরা (গাঁধী) এক পরিবারের মতো।’’ তা হলে কি তামিলাড়ুতে কংগ্রেসের জোট নিয়েও কথা হয়েছে? কমলের জবাব, ‘‘সেই বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি।’’
বাস্তবে দক্ষিণের জনপ্রিয় তারকা হলেও নেতা হিসেবে এখনও সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেননি কমল। এখন প্রশ্ন, তা হলে কিসের জন্য রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি? কংগ্রেস সূত্রের মতে, আসলে এই তাগিদটা যতটা না কংগ্রেসের, তার থেকেও বেশি কমলের নিজের। আর এক দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তকে মোটের উপর বিজেপিরই ‘বি-টিম’ হিসেবে ধরা হয়। এডিএমকেও কার্যত তিন টুকরো হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কমল নিজের পায়ের তলায় জমি খুঁজছেন। বোঝাতে চাইছেন, তিনি এক জন ‘সিরিয়াস’ রাজনীতিক হয়ে উঠতে চান। তবে তাঁকে আদৌ জোটে সামিল করা হবে কি না, সেটা ঠিক হবে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলেই। এর আগে ডিএমকের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে কমলকে। কিন্তু জোটে আসার আগে কমলকেও নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে।
কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, ‘‘২০১৯ সালের দেওয়াল লিখন স্পষ্ট। নরেন্দ্র মোদীর বিদায় হচ্ছে, আসছেন রাহুল গাঁধী। ফলে এ ধরনের অনেক বৈঠক আরও দেখা যাবে আগামী দিনে।’’ ডিএমকেও মনে করছে, জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাহুল নিশ্চয়ই স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলবেন। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার পরেই এডিএমকের মুখপত্রে আজ কমলকে একহাত নেওয়া হয়েছে। স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এক সময় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন কমল। তবে কমল ভক্তরা বলছেন, তাঁদের সুপারস্টার ‘সঠিক’ পথে এগোচ্ছেন বলেই বিরোধীদের সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy