মহম্মদ কাইফ মুল্লা। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মোট নম্বরের থেকে এক নম্বর কম পেয়েছিল কর্নাটকের বেলগামের ছাত্র মহম্মদ কাইফ মুল্লা। এ বছর দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিল সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬২৪। রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানাধিকারি।
পরীক্ষার ফল শোনার পরই আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে খুশির বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু যাকে নিয়ে এত উছ্বাস-উল্লাস, সেই কাইফের মধ্যে বরং উল্টো প্রতিক্রিয়াটাই ধরা পড়েছিল সে দিন। যথেষ্ট নিরাশই হয়েছিল বছর পনেরোর কাইফ। এক নম্বর কম পাওয়ার হতাশা তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। কিন্তু এ ছেলে যে সহজে দমে যাওয়ার পাত্র নয়, তা বোঝা গিয়েছিল ওই এক নম্বর আদায়ের লড়াই দেখে।
কেন তাকে এক নম্বর কম দেওয়া হল, কোথায় সেই নম্বর কাটা গেল, সেই প্রশ্ন তুলেই বোর্ডের কাছে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় সে। তার আর্জিতে সায় দিয়ে পুনর্মূল্যায়নও করা হয় প্রতিটি বিষয়ের। আশ্চর্যজনক ভাবে সেই পুনর্মূল্যায়নে তার এক নম্বর বাড়ে। ৬২৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে আরও দু’জনের সঙ্গে প্রথম স্থান অর্জন করে কাইফ।
আরও পড়ুন: কর্নাটক ক্ষোভে জল ঢাললেন রাহুল
কাইফ এক সাক্ষাত্কারে জানায়, পরীক্ষা দিয়ে আসার পর প্রতিটি বিষয়ের উত্তর নোটবুক, মডেল উত্তরপত্রে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মিলিয়ে দেখেছে সে। এমনকী শিক্ষকদের সঙ্গে কথাও বলেছে প্রতিটি বিষয় নিয়ে। এক সক্ষাত্কারে কাইফ বলে, “সব কিছু মিলিয়ে দেখার পর বুঝতে পারি আমি যে উত্তর দিয়েছি সবই ঠিক। দৃঢ় বিশ্বাস আমার প্রাপ্য নম্বর ৬২৫-ই হবে।” অবশেষে তাঁর বিশ্বাসেরই জয় হল। আর প্রাপ্য এক নম্বর আদায় করতে পেরে যথেষ্টই খুশি কাইফ। জানায়, সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়তে চায় সে। ভবিষ্যতে সে কাজ করতে চায় শিশু শ্রমিকদের শিক্ষার বিষয় নিয়ে।
আরও পড়ুন: সলমন খানকে হত্যার ছক ফাঁস, বিস্ফোরক জবানবন্দি গ্যাংস্টারের
কাইফের বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক। ছেলের আত্মবিশ্বাস ও সাফল্যে যথেষ্ট গর্বিত তাঁরা। বলেন, “ছেলে দিনে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরেই রাখত ও। আমরা চাই ও আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy