বৈঠকের পরে কংগ্রেস নেতারা। সোমবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকে শাসক শিবিরের একের পর এক বিধায়কের ইস্তফা খাদের ধারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারকে। জোট সরকার বাঁচাতে প্রায় নজিরবিহীন ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রী আজ পদত্যাগ করেছেন। সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইস্তফা দিয়েছেন দুই নির্দল বিধায়ক তথা মন্ত্রী।
কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে আজ উত্তপ্ত হয় লোকসভা। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, কর্নাটকে যা হচ্ছে, তাতে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই।
গত শনিবার জোট শিবিরের ১৩ জন বিধায়কের ইস্তফার পর কর্নাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়ে আগামিকাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন স্পিকার। সরকার বাঁচাতে প্রথমে কংগ্রেসের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেন। পরে ইস্তফা দেন জেডিএসের মন্ত্রীরাও। দুপুরে কুমারস্বামীর টুইট, ‘‘কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রীর মতোই জেডিএসের মন্ত্রীরাও ইস্তফা দিয়েছেন। শীঘ্রই মন্ত্রিসভার রদবদল হবে।’’ সূত্রের খবর, ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় শামিল করতেই মন্ত্রীদের গণইস্তফা। কুমারস্বামীর দাবি, ‘‘সব সমাধান হয়ে যাবে। আমি উদ্বিগ্ন নই।’’
সরকার বাঁচাতে কংগ্রেস এবং জেডিএস নেতারা যখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, তখন কুমারস্বামীকে ধাক্কা দিয়েছেন নির্দল বিধায়ক তথা মন্ত্রী এইচ নাগেশ এবং আর এক নির্দল বিধায়ক আর শঙ্কর। পদত্যাগ করেই নাগেশ মুম্বইয়ে যান ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের কাছে। রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘কুমারস্বামী সরকারের থেকে আমি সমর্থন প্রত্যাহার করছি। বিজেপি সরকারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত।’’ যদিও উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের দাবি, নাগেশ তাঁকে জানিয়েছেন, বিজেপি তাঁকে অপহরণ করেছে।
বিজেপি নেতা আর অশোকের দাবি, ‘‘আত্মসম্মান থাকলে চেয়ার আঁকড়ে না থেকে কুমারস্বামীর পদত্যাগ করা উচিত।’’ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আমাদের কাছে সংখ্যা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার ফেলে দিতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy