অভিনন্দন: উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের সঙ্গে কুমারস্বামী। পিটিআই
গত ছ’দশকে কর্নাটকের রাজনৈতিক ইতিহাসে যা হয়নি, এ বার সেটাই করে দেখালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মুখ্যমন্ত্রী অথবা উপমুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও দলিত নেতাকে কখনও দেখেনি কর্নাটক। এই প্রথম দলিত উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর। দলিত প্রশ্নে রাহুল এ ভাবেই নরেন্দ্র মোদীকে জবাব দিলেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
দু’দিন আগে ১০ জনপথে এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে রাহুল স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে কোনও দরকষাকষি চান না। বরং কর্নাটক মডেলকেই ২০১৯-এর আগে এক পোক্ত বিজেপি-বিরোধিতার মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরতে চান। কিন্তু তিনি এক জন দলিত নেতাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান। তাঁর কথা মেনে নিয়েছিলেন দেবগৌড়ারা। তবে কাল অনেক রাত পর্যন্ত রাজ্য কংগ্রেসের কিছু নেতা এক জন লিঙ্গায়েত বিধায়ককে দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চেষ্টা করে গিয়েছিলেন। কিন্তু এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক তথা কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, জি পরমেশ্বরই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নেবেন।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশ— সর্বত্রই মোদী বিরোধিতার অন্যতম কৌশল হিসেবে দলিত তাসকে ব্যবহার করতে চাইছেন রাহুল। বিভিন্ন রাজ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যে দলিত ক্ষোভ জমা হচ্ছে, তাকে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি ব্যবহার করা হবে বলে স্থির করেছে কংগ্রেস। জি পরমেশ্বরকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়াটা তারই অঙ্গ বলেই মনে করা হচ্ছে।
১৯৯৩-এ বীরাপ্পা মইলির সরকারে প্রথম মন্ত্রী হন পরমেশ্বর। সে বছরই প্রথম বিধানসভায় জিতেও আসেন তিনি। বিদেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং ইংরেজিতে পারদর্শী পরমেশ্বর দ্রুতই কংগ্রেস নেতৃত্বের নজরে চলে আসেন। এর আগে কর্নাটকের কোনও বড় দলিত কংগ্রেস নেতাই (মল্লিকার্জুন স্বামী, বি বাসবলিঙ্গাপ্পা, কে এইচ রঙ্গনাথ প্রমুখ) মন্ত্রিপদের বাইরে খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি।
মোদী প্রচারে বুক ঠুকে জানিয়েছিলেন, বিজেপিই একমাত্র দল যারা এক জন দলিতকে রাষ্ট্রপতি করেছে। এ দিন এক জন দলিত নেতাকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়ে জবাব দিল কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy