সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে কিছু দিন আগেই নরম মনোভাব নিতে দেখা গিয়েছিল ব্রিটেনকে। কিন্তু নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র আসন্ন সফরের আগে ব্রিটেন জানিয়ে দিল, কাশ্মীর নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ, কাশ্মীরের বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের ‘দ্বিপাক্ষিক’ বিষয় হিসেবেই দেখছে ব্রিটেন।
কাশ্মীরে ভারতের দমনপীড়নের অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ইসলামাবাদ। তবে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সেই প্রয়াস বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকার পরে ব্রিটেনও আজ তাদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লি পৌঁছনোর আগে একে ব্রিটেনের বার্তা হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি ইয়াসমিন কুরেশি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে কাশ্মীরের বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে কিনা। জবাবে
প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেন, ‘‘যত দিন আমি ক্ষমতায় এসেছি, এমনকী তার আগেও ব্রিটেনের অবস্থান হল, কাশ্মীরের বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এর সমাধানও ওই দু’দেশকেই করতে হবে।’’ নভেম্বরের ৬ থেকে ৮ তারিখ টেরেসা মে ভারতে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ যে উঠবে না, ব্রিটেন আজ তা স্পষ্ট করে দিল।
ভারত সফরের সময়ে দিল্লি ছাড়াও বেঙ্গালুরুতেও যাবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। টেরেসা মে-র সঙ্গে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলও থাকছে। ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রীও প্রতিনিধিদলে থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy