কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বের জঙ্গি উপদ্রব বা মাওবাদী সমস্যা রাজনাথ সিংহ পাঁচ বছরে মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের আবার দাবি, আগামী পঞ্চাশ বছর এ দেশে ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। তারই মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হবে দেশের সব সমস্যা। যা শুনে কংগ্রেসের কটাক্ষ, পাঁচই হোক বা পঞ্চাশ বছর, বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে কোনও সমস্যারই সমাধান হবে না। উল্টে প্রশ্ন উঠেছে, শেষে পাঁচ বছরের মাথাতেই নির্বাণ ঘটবে না তো নরেন্দ্র মোদী সরকারের!
আগামী পাঁচ বছরে (২০১৭-২২) নতুন ভারত গঠনে ‘সঙ্কল্প থেকে সিদ্ধি’ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সরকারের লক্ষ্যই হল দারিদ্র, আবর্জনা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলি ভারতছাড়া করা। স্বাধীনতার ৭০ বছরে নেওয়া সঙ্কল্পের সিদ্ধিলাভ হবে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে অর্থাৎ ২০২২ সালে। যার অর্থ হল, দ্বিতীয় দফায় জিতে নরেন্দ্র মোদী যে ২০২২ সালেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন সুকৌশলে মানুষের মনে সে কথা এখন থেকেই গেঁথে দেওয়া। এক কথায়, এ হল মোদীর নির্বাচনী প্রচার। আর নরেন্দ্র মোদীর এই মোক্ষলাভের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কাল লাদাখে, আজ থেকে রাওয়ত
গতকাল লখনউতে নতুন ভারত নির্মাণ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি দাবি করেন, ‘‘আগামী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্বের জঙ্গি উপদ্রব বা মাওবাদী সমস্যার সমাধান করে ফেলা হবে।’’ যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীনতা পেয়েছিল ভারত। তা যদি হতে পারে তাহলে আগামী পাঁচ বছরে সিদ্ধিলাভ সম্ভব হবে না কেন!’’
রাজনাথ যখন ২০২২ সালের মধ্যে সমস্যা মেটানোর লক্ষ্য স্থির করছেন, তখন আজ ভোপালে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ বা দশ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসিনি। অন্তত ৫০ বছরের জন্য এসেছি। ক্ষমতায় থেকে আমরা আগামী ৪০-৫০ বছর ধরে দেশে সার্বিক পরিবর্তন আনব।’’ বিজেপির দাবি নিয়ে মূল প্রশ্নটি শুরুতেই তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু। সংসদে হওয়া ভারত ছাড়ো উপলক্ষে যে বিশেষ অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী সঙ্কল্প নেওয়ার ঘোষণা করেন, সেই অধিবেশনেই বলতে গিয়ে সুগতবাবু জানতে চান, ‘‘আসলে সঙ্কল্পটি ঠিক কী! কিসের সঙ্কল্প নিতে চাইছে বিজেপি সরকার!’’
প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও। রাজনাথের পাঁচ বছরের সব কাজ করে ফেলার দাবির প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারির কটাক্ষ, ‘‘সমস্যা সমাধান যে হবে সে বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। শুধু পার্থক্য হল সে সময়ে সরকারে থাকবে অন্য কোনও দল। কারণ এই সরকারের মেয়াদ যে ২০১৯ শেষ হচ্ছে তা বিজেপি নেতারা ভুলে গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy