মরণোত্তর শৌর্যচক্র পেলেন ঔরঙ্গজেব। নিজস্ব চিত্র।
দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান শৌর্যচক্র পাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের রাইফেলম্যান ঔরঙ্গজেব। এই বছরের জুনে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে পুলওয়ামা জেলার কাছে তাঁকে প্রথমে অপহরণ, পরে খুন করে জঙ্গিরা। ২০১২ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সালানি গ্রামের তরতাজা যুবক ঔরঙ্গজেব। মাত্র পাঁচ বছরের কর্মজীবনে একাধিক সেনা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই জন্য জঙ্গিদের নজরে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। সেই অপরাধেই শেষ পর্যন্ত ২৪ বছর বয়সে অকালে জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারাতে হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা উপত্যকাতেই। পুঞ্চ জেলায় যুব সমাজের একটি বড় অংশ কাশ্মীর পুলিশে যোগদানের অঙ্গীকার করে তাঁর হত্যার পরপরই।
ঔরঙ্গজেব ছাড়াও শৌর্যচক্র পেয়েছেন আরও উনিশ জন। শৌর্যচক্র পেয়েছেন মেজর আদিত্য কুমারও। কাশ্মীরের সোপিয়ানেই পাথর ছুঁড়তে থাকা জনতার ওপর গুলিচালনার নির্দেশ দিয়ে তিনি দেশজোড়া বিতর্ক ও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেনার গুলিতে তিন জন সাধারণ মানুষ মারা যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান কীর্তিচক্র পেলেন সিপাই ব্রহ্মা পাল সিংহ। ২০১৭-র নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের আলগর গ্রামে একটি সেনা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, এই গ্রামে লুকিয়ে আছে তিন সন্ত্রাসবাদী। একটু ভেতরে ঢোকার পরই তিনদিক থেকে আক্রমণ করা হয় তাঁকে। গুলি লাগে তাঁর বুকে, পায়ে। গুরুতর আহত হলেও সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তাঁর পাল্টা আক্রমণে নিহত হয় এক জঙ্গি, আহত হয় আরেক জন। মারা যায় জৈশ-ই-মহম্মদ শীর্ষনেতা মাসুদ আজহারের ভাইপোও। একই অভিযানে সিপাই ব্রহ্মা পাল সিংহের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন ঔরঙ্গজেব-ও।
আরও পড়ুন : এ বারও পতাকা তুলল, কিন্তু মন বেজার হায়দরের, এ দেশটা তার থাকবে তো?
৭২ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মোট ১৩১ জনকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে, জানালেন মোদী
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy