সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী, মাইনরোধী গাড়ি আর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা একটি বাড়ি রয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। কিন্তু জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া এই মু্খ্যমন্ত্রী মনে করেন তাঁর জন্য এই নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়। আর সেই কারণে এ বার নিজের জন্য বুলেটপ্রুফ শৌচাগার সমেত এক এলাহি বাড়ি বানালেন কে চন্দ্রশেখর রাও। এখানেই শেষ নয়, ঘরে থাকছে বুলেটপ্রুফ জানলাও। বৃহস্পতিবার সেই রাজকীয় বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
তেলঙ্গানার বেগমপেটে নতুন রাজপ্রাসাদের সমান একটি বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন রাও। সেখানে রয়েছে দু’টি আধুনিক সুরক্ষিত শৌচাগার। প্রায় নয় একর এলাকা নিয়ে এই বাড়ি তৈরি হয়েছে।
এই বাড়ির প্রতিটি জানলায় বুলেটপ্রুফ কাচ লাগানো রয়েছে। বাড়ির অতি সুরক্ষিত দু’টি শৌচাগারের একটি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও ও অন্যটি তাঁর ছেলে কেটিআর-এর জন্য। এখানেও উন্নতমানের বুলেটপ্রুফ কাচ লাগানো হয়েছে। এর পিছনে খরচ হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
নতুন বাড়ির পুজোয় কে চন্দ্রশেখর রাও।
মুখ্যমন্ত্রীর নতুন বাড়িতে ২৪ ঘণ্টাই ৫০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে একটা বড় অংশের কাছে থাকবে উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র এবং থাকবেন ইন্টেলিজেন্স সিকিউরিটি উইং বা আইএসডব্লিউ-র কর্মী। এই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে যতই পরিচিতই হোক না কেন, ফোন, ঘড়ি এবং অন্যান্য ধাতব জিনিস বাইরে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে রেখে তবেই ঢুকতে হবে। তেলঙ্গানার এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। সব ধরনের সম্ভাব্য হামলার জন্য তৈরি থাকতে হবে। এই বাড়িটিই সরকারি বাংলো হতে চলেছে, তাই নিরাপত্তার কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে একটি পেক্ষাগৃহ রয়েছে, যেখানে আড়াইশোরও বেশি দর্শক একসঙ্গে বসে ছবি দেখতে পারবেন। সরকারি ভাবে বলা হয়েছে, এই রাজকীয় বাড়ি তৈরিতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে বা়ড়ি ঢেলে সাজতে গিয়ে খরচ শেষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। শোনা গিয়েছে, চন্দ্রশেখরের ধারণা, পুরনো বাড়িটি বাস্তুশাস্ত্র মেনে বানানো হয়নি। তাই তিনি এই নতুন বাড়িটি বানালেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্য ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়েছে: অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy