কেরলের জল-ছবি। -সংগৃহীত।
কেরলে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াল বন্যায় ও ধসে মৃতের সংখ্যা সরকারি ভাবে ৪৮৩। নিখোঁজ ১৪ জনের হদিশ মেলেনি এখনও পর্যন্ত। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১৪০ জনকে।
কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি এও জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, টাকার অঙ্কে কেরলের বার্ষিক বাজেট-বরাদ্দের পরিমাণের চেয়েও বেশি। কেরলে ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষের বাজেটে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
বন্যাকবলিত মানুষের উদ্ধারে অগ্রণীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজয়ন বলেছেন, ‘‘উদ্ধারের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে ত্রাণ বিলিবণ্টনের মহাযজ্ঞ। তবে বন্যাবিপর্যস্ত কেরলকে ঢেলে সাজানোর কাজ পুরোটাই বাকি।’’
সেই ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব এখনও আসছে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ২৬০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ দাবি বিজয়নের
আরও পড়ুন- রান্না মাদ্রাসায়, খাওয়া গির্জায়, বিশ্রাম মন্দিরে
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দেওয়া ৭০০ কোটি টাকার সাহায্যের প্রস্তাব কেন্দ্রের বাধায় আটকে গিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে কেরল বিধানসভায় এ দিন বিজয়ন বলেন, ‘‘বিদেশি অর্থসাহায্য পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’’
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে এখন মোট ৩০৫টি ত্রাণ শিবিরে ১৬ হাজার ৭৬৭টি পরিবারের মোট ৫৯ হাজার ২৯৬ জন রয়েছেন। পরিবার-পিছু ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে চাল, আটা, চিনি ও জামাকাপড়।
বন্যায় রাজ্যের ৫৭ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy