বাগ্দান: তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্য।
বাড়িতে বৌমা এখনও পা রাখেননি।। তবে বিয়ের একদিন আগে, শ্বশুরমশাই লালুপ্রসাদ আজ হবু বৌমা ঐশ্বর্য রায়কে ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ‘সুপ্রভাবে’ই যাদব পরিবার স্বস্তি, সুখ ফিরে এসেছে। চন্দ্রিকা রায় এবং লালুর বাড়িতে গিয়ে তেজপ্রতাপ-ঐশ্বর্যকে দফায় দফায় আশীর্বাদ করার পর এই ফোনের খবর জানিয়েছেন বাবা রামদেব।
গতকালই রাঁচী থেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে পটনার বাড়িতে ফিরেছেন লালু। আর আজই রাঁচী হাইকোর্ট তাঁকে মুম্বইয়ের এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছে। ছোট ছেলে তেজস্বীও এ দিন আদালত অবমাননার মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সব মিলিয়ে স্বস্তি লালুর পরিবারে— সুখী পরিবারে আসছেন বৌমা!
ঐশ্বর্যের মা পূর্ণিমা বলেন, ‘‘মেয়ে হওয়ার পরেই ওঁর বাবা বিহার টেক্সট বুক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। লাল বাতির গাড়িও পেয়েছিলেন।’’ তেজপ্রতাপের বিয়ের সুবাদে দীর্ঘ এক দশক পরে দুই শ্যালক সাধু এবং সুভাষ যাদবের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে লালুর। মিসা নিজে গিয়ে তিন মামাকে নিমন্ত্রণ করেছেন। মামারাও ঐশ্বর্যকে ‘লাকি’ বলেই মনে করছেন। পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, ‘বদমেজাজি’ তেজপ্রতাপও কিছু দিন ধরে শান্ত। আর এই সুখী আবহে লালুর ১০, সার্কুলার রোডের বাড়ির ফটকে কুনজর’ এড়াতে ফুলের সাজের মধ্যে ঝোলানো হয়েছে ‘লেবু-লঙ্কা’।
বিয়েতে আমন্ত্রিত পাঁচ হাজারেরও বেশি। তালিকায় রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা বঢরা। আছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। কারা আসবেন, তা নিয়ে চুপ যাদব পরিবার। লালু-পুত্র তেজস্বীর কথায়, ‘‘আপনারা আসুন! সব দেখতেই পাবেন।’’
সংবাদ সংস্থা অবশ্য পারিবারিক সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা আসছেন। দিল্লি সূত্রের খবর, নেপাল থেকে দিল্লি ফেরার পথে পটনায় নামার সম্ভাবনা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। ছেলের বিয়ের জন্য লালুকে আজ অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পঞ্চায়েত ভোটের কারণে বিয়েতে যে তিনি যেতে পারছেন না তাও জানিয়ে দিয়েছেন। মমতার প্রতিনিধি হিসেবে হাজির থাকবেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy