ধানের তুঁষ পুড়ে তৈরি হওয়া ছাই। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
দৈনন্দিন বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে পৃথিবী জুড়ে সমস্যার শেষ নেই। তাই উত্পাদিত বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে সাড়া পৃথিবী জুড়ে। সেই পথে এ বার নতুন দিশা দেখাল পঞ্জাবের লামব্রা কাঙরি কোঅপারেটিভ সোসাইটি। ধানের তুঁষ থেকে উত্পন্ন ছাই দিয়ে জল পরিশোধনের নতুন উপায় দেখাল তারা। কম খরচের এই পদ্ধতিতে পরিশোধিত জল যেমন চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে। ওই জল দূষণও ছড়াবে না।
পঞ্জাবের লামব্রা ও তত্সংলগ্ন গ্রামে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার খুব কম। সেখানকার অধিকাংশ গ্রামে জ্বালানির জন্য বায়োগ্যাস ব্যবহার হয়। সেই বায়োগ্যাস তৈরির অন্যতম উপাদানহল ধানের তুঁষ। বর্জ্য হিসাবে তৈরি তুঁষেরছাই কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়েই জল পরিশোধনের এই নতুন উপায় বের করেছে কোঅপারেটিভ।
পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর এলাকার লামব্রা কাঙরি মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লামব্রা গ্রামে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি প্রকল্প শুরু করে। সেখানে বাড়ির নিকাশির জলকেপরিশোষধনের জন্য তুঁষের ছাই ব্যবহার করে তারা। সেই পরিশোধিত জল চাষের কাজে ব্যবহার করায় ছিল তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: খনি শ্রমিকরা জলমগ্ন, প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ছবি তোলায়, মোদীকে তোপ রাহুলের
এই পদ্ধতিতে পরিশুদ্ধ জলকে পরীক্ষার জন্য তারা পাঠিয়েছিল পঞ্জাব এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পরিশুদ্ধ জলের ওই স্যাম্পেল টেস্ট করার পর পঞ্জাব এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি চাষের কাজে ওই জল ব্যবহার করার সবুজ সংকেত দিয়েছে।
লামব্রা সোসাইটির প্রোজেক্ট ম্যানেজার জসবিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘জল পরিশোধনের এই পদ্ধতি একেবারে প্রাকৃতিক। অন্যান্য পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতি অনেক সস্তাও।’’
প্রকল্পটি বাস্তব রূপায়নের কাজ জোরকদমে চালাচ্ছেন কোঅপারেটিভ। প্রকল্পটি শুরু হলে তুঁষের ছায় ফেলার সমস্যা যেমন মিটে যাবে, তেমনই চাষের জন্য জলের খরচ কমে যাবে ওই এলাকার চাষিদের।
আরও পড়ুন: জাঠ, রাজপুত, জাঠ শিখ ছাড়া কেউ রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হতে পারেন না? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল আদালত
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy