গুজরাত হাইকোর্টের প্রবীণ বিচারপতি আকিল কুরেশির বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামলেন সেখানকার ১২০০ আইনজীবী। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘অপছন্দের লোক’ বলেই কুরেশিকে সরানো হচ্ছে।
গত কাল গুজরাত হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ এস দাভের নামে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু আজ ওই পদে হাইকোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতি আকিল কুরেশিকে বসানো হয়েছে। বিচারপতি দাভে এই মুহূর্তে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় বিচারপতি। কিন্তু তাঁকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পদে বসিয়ে বিচারপতি কুরেশিকে বম্বে হাইকোর্টে বদলি করা হয়।
২০১০ সালে সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় বিচারপতি কুরেশির রায়েই অমিত শাহকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। ২০১১ সালে গুজরাত হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর এ মেহতাকে রাজ্যের লোকায়ুক্ত হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। এর পক্ষে রায় দিয়েছিল কুরেশির অধীনস্থ বেঞ্চ। গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এতে ঘোর আপত্তি ছিল। গুজরাত বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট যতীন ওজার কথায়, ‘‘যে বিচারপতিদের পছন্দ নয়, তাঁদের বরাবরই শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার।’’
কলেজিয়ামের বদলি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জে চেলমেশ্বরও। তাঁর যুক্তি, স্থানীয় নেতৃত্বের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন, এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের বিচারপতিদের হামেশাই বদলি করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy