এক ঢিলে দুই পাখি। এক দিকে, মনকাড়া ভোটপ্রচার। অন্য দিকে, পুরনো লোকসংস্কৃতিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। ভোটারদের বুথমুখী করতে নলবাড়ি জেলা প্রশাসন প্রায় দুশো লোকশিল্পীকে নিয়োগ করেছে। তাঁরা ভোট ও ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গান, ছড়া, নাচ ও পুতুল নাচের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে প্রচার করছেন।
জেলাশাসক ভারতভূষণ দেবচৌধুরীর কথায়, “আমি নিজে নামনি অসমের মানুষ। বিভিন্ন ধারার লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল এই এলাকা। কিন্তু নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে সে সব ভুলতে বসেছে। লোকশিল্পীদের রোজগারও এখন নামমাত্র। তাই লোকশিল্পের প্রচার ও লোকশিল্পীদের সামান্য সাহায্য করতে নির্বাচন কমিশনের প্রচারে কাজে লাগিয়েছি।”
লোকশিল্পীরা মানুষকে বুথে টানতে পুতুলনাচ, ওজাপালি, ঢুলিয়া, বিয়া নাম, আই নাম, মামা হো-র মতো বিভিন্ন লোকগান ও লোকনৃত্যের সাহায্য নিচ্ছেন। এবং ভালই সাড়া পাচ্ছেন। লোকগানের মাধ্যমে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী শুনতে শুধু প্রবীনরাই নন, নবীনরাও উৎসাহী। পুতুলনাচ শিল্পী রঞ্জিৎ মিশ্র জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, এর ফলে তাঁরা দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। তাঁদের ১২ জনের দলটি ইতিমধ্যেই জেলায় ৬০টি পুতুলনাচের ‘শো’ করেছেন। ধনবর, রতনি ও মইনা— এই তিনটি পুতুলকে জেলার ‘ভোট ম্যাসকট’ করা হয়েছে। একই ভাবে অন্য লোকশিল্পীরাও নলবাড়ি জেলার ৬৯০টি বুথে পালা করে প্রচার চালাচ্ছেন।
শুধু লোকসংস্কৃতিই নয়, পোস্টারেও অভিনবত্ব এনেছে নলবাড়ি জেলা নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ‘চাক দে’ সিনেমার ধাঁচে হকি স্টিকের ছবি আঁকা পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘ভোট দে’। হ্যারি পটার সিনেমার পোস্টারের আদলে ভোটের পোস্টারে লেখা ‘হ্যাপি ভোটার, অ্যান্ড দ্য ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ান ডেমোক্র্যাসি’। আমির খানের ছবির আদলে পোস্টারে লেখা ‘অল ইজ ওয়েল ইফ ইউ কাস্ট ভোট’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy