Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইভিএম মাথায় নিয়ে শিশুরা, টুইট তেজস্বীর

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের ছপরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গত ১১ মে শিশুদের মাথায় ইভিএম চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার সুব্রত সেন ঘটনাস্থলে যান।

এই ছবি ঘিরেই ছড়িয়েছে বিতর্ক।

এই ছবি ঘিরেই ছড়িয়েছে বিতর্ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০৩:৫৩
Share: Save:

ইভিএম বিতর্কে এ বার মাঠে নামলেন তেজস্বী যাদব। আজ নিজের টুইট করে বিহারে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে ইভিএম বহন করানো হচ্ছে। মুজফফরপুরের হোটেল থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ইভিএম বাজেয়াপ্ত করছেন। বৈধ গাড়ি ছাড়া ইভিএম নেওয়া হয়েছে।’’ বক্তব্যের সমর্থনে তিনি একটি ছবি দেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন শিশু মাথায় করে ইভিএম, ভিভিপ্যাট মেশিন নিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের ছপরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গত ১১ মে শিশুদের মাথায় ইভিএম চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার সুব্রত সেন ঘটনাস্থলে যান। তবে শিশু শ্রমিকদের ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

যদিও বিহারের একটি হিন্দি দৈনিক ওই শিশুদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট করে। সংবাদ অনুযায়ী, গত ১১ মে সারণের ভোটের আগের দিন, নির্বাচন সেল থেকে ভোটকর্মীরা ইভিএম সংগ্রহ করে তা গাড়িতে তোলার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড গরমে ওই শিশুদের মাথায় চারটে করে ইভিএম চাপানো হয়। বিনিময়ে তাদের পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়। জেলাশাসক সুব্রত সেন অবশ্য এ কথা মানতে চাননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শুধু তেজস্বীই নন, রাবড়ীদেবীও ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, “দেশ জুড়ে স্ট্রংরুমের আশপাশে ইভিএম ভর্তি গাড়ি উদ্ধার হচ্ছে। ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে ইভিএম পাওয়া যাচ্ছে। এ সব কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাচ্ছে? কখন, কে, কেন এবং কী জন্য তা নিয়ে যাচ্ছে? এটা কী পূর্ব পরিকল্পিত কোনও প্রক্রিয়ার অংশ? নির্বাচন কমিশনের উচিত এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE