কানহাইয়া কুমার বেগুসরাইয়ে সিপিআইয়ের প্রার্থী হলেও মহাজোটের সমর্থন পাবেন না। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছল আরজেডি ও কংগ্রেস। আগামী কাল সরকারি ভাবে তা ঘোষণা করা হতে পারে। বিহারে মহাজোট অটুট থাকছে বলে দু’পক্ষই জানিয়েছেন। রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে আরজেডি এবং ৯টি আসনে কংগ্রেস লড়বে বলে আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকি ১২টি আসন শরিকদের জন্য ছাড়া হবে। তবে সিপিআই ও সিপিএমকে কোনও আসন ছাড়া হচ্ছে না। অর্থাৎ কানহাইয়া কুমার বেগুসরাইয়ে সিপিআইয়ের প্রার্থী হলেও মহাজোটের সমর্থন পাবেন না। আরজেডি সূত্রের খবর, ওই আসনে তারাই প্রার্থী দেবে।
গত কয়েক দিন ধরে দু’দলের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক বিবৃতি মহাজোটকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তেজস্বী যাদবের কয়েক দফা আলোচনার পরে সমঝোতা সূত্র বেরিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। তবে তেজস্বী বা কংগ্রেস এখনও মুখ খুলতে রাজি নয়। কংগ্রেস, আরজেডি ছাড়া মহাজোটের বাকি শরিকরাও এই আসন সমঝোতা সূত্রে রাজি হয়েছেন।
১২টি আসনের মধ্যে উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি ৪টি, জিতনরাম মাঁঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা ৩টি, মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি ২টি, সিপিআইএমএল ১টি এবং শরদ যাদবের লোক জনতা দলকে ১টি আসন দেওয়া হয়েছে। তেজস্বী যাদব এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন। আগামী কাল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে মহাজোটে ঠাঁই পেল না সিপিআই এবং সিপিএম। সিপিআই নেতা তথা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানাহইয়া কুমারকে বেগুসরাই আসন ছাড়তে রাজি নয় আরজেডি। দলের নেতারা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, সিপিআইএমএল ছাড়া বিহারে কোনও বাম দলের জনভিত্তি নেই। বিশেষ করে কানহাইয়া কুমারের প্রার্থী পদ নিয়ে আপত্তি রয়েছে খোদ তেজস্বীর। লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে বিহারে সিপিএম ও সিপিআইয়ের জন্য আসনের কথা বলেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু আরজেডি নেতৃত্ব তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy