Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী হোন মোদী, চান কল্যাণ

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী সতীশ গৌতমকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সাংসদকে লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় দেখাই যায় না।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে নিয়ে কল্যাণের করা মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে নিয়ে কল্যাণের করা মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৯
Share: Save:

ভোটের মুখে সাংবিধানিক পদের তোয়াক্কা না করেই সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে জেতানোর জন্য বললেন রাজস্থানের রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংহ। তাঁর মতে, দেশ এবং সমাজের স্বার্থে পুনরায় মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী করা উচিত। ওই মন্তব্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী সতীশ গৌতমকে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সাংসদকে লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় দেখাই যায় না। শনিবার কল্যাণের বাসভবনের সামনে বিজেপি কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। সেখানে ক্যামেরার সামনেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিজেপি কর্মী। সব সময়ই চাই বিজেপি জিতুক। প্রত্যেকেই চায় মোদীজি আর এক বার প্রধানমন্ত্রী হোন। দেশ এবং সমাজের স্বার্থে মোদীজি’রই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত।’’ বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করতে গিয়ে রাজস্থানের রাজ্যপালের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি কর্মীদের উচিত, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নেওয়া।’’

প্রসঙ্গত, কল্যাণ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই বাবরি মসজিদ ভেঙেছিলেন করসেবকেরা। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ১৯৯৯ সালে বিজেপি ছেড়েছিলেন কল্যাণ। ২০০৪ সালে ফের বিজেপিতে ফিরে যান তিনি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ার পর দলের একাধিক নেতাকে রাজ্যপাল করা হয়েছিল। সাংবিধানিক পদাধিকারী হয়েও বিজেপির সেই নেতারা একাধিক বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তার মধ্যে সম্ভবত এগিয়ে রয়েছেন অধুনা মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। রাজ্যপাল হয়েও বিতর্কিত মন্তব্যে তিনি বিরামহীন। সম্প্রতি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যেরা কাশ্মীরিদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। সে সময় তথাগত টুইট করেছিলেন, ‘‘কাশ্মীরিদের বয়কট করা উচিত। আগামী দু’বছর কাশ্মীরে যাওয়া বন্ধ করুন। অমরনাথ যাত্রাও বন্ধ করুন। কাশ্মীরিদের থেকে শীতবস্ত্র কিনবেন না।’’ ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতা দখলের পর বিলোনিয়ায় লেনিনের মূর্তি ভেঙেছিল গৈরিক বাহিনী। ত্রিপুরার তৎকালীন রাজ্যপাল তথাগত টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘আগের সরকার যে কাজ করেছে, তা বর্তমান সরকার বন্ধ করে দিতে পারে। ভেঙে দিতেও পারে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE