ছবি: পিটিআই।
অনন্তনাগ কেন্দ্রে ভোটের দ্বিতীয় দফাতেও ভোট পড়ল মাত্র ১০.৩২ শতাংশ। বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে আহত হলেন ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৬ জন জওয়ান।
তীব্র ভারত-বিরোধী মনোভাব ও হিংসার আশঙ্কায় অনন্তনাগ কেন্দ্র নিয়ে আশঙ্কায় প্রশাসন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই কেন্দ্রে তিন দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের পর্বে অনন্তনাগে ভোটে তেমন সাড়া মেলেনি। এ দিনও কুলগামের ৬২টি বুথে কেউ ভোট দেননি। তবে নুরাবাদ, দেভসর, হোম শালিবাগের মতো এলাকায় বুথের বাইরে চোখে পড়েছে লম্বা লাইন।
হোম শালিবাগে বুথের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন সুভান আহমেদ খান্ডে। বললেন, ‘‘আর ভোট দিই না। যে সব নেতারা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা সকলেই আমাদের ঠকিয়েছেন। ওঁদের পকেট ভরেছে। আমরা ভোট দিই। কিছুই বদলায় না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইয়ারিপোরা, খুদওয়ানি, রেডওয়ানি এলাকায় বুথের বাইরে ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল স্থানীয় কিশোর-যুবকদের। রেডওয়ানিতে এমনই এক দল যুবক প্রায় একসুরে বললেন, ‘‘আমরা ভোট দেব না। এই এলাকার অনেকে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে।’’
তবে দেভসরে বুথে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এক দল মধ্যবয়স্ক স্থানীয় বাসিন্দা। আব্দুর রশিদ দার ও তাঁর প্রতিবেশী গুলাম মহিউদ্দিন খান বললেন, ‘‘আমরা চাই বিজেপি-আরএসএস উপত্যকা থেকে দূরে থাকুক। বজায় থাকুক আমাদের বিশেষ মর্যাদা। তাই ভোট দিতে এসেছি।’’
কুলগাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে নুরাবাদ (২০ শতাংশ) ও দেভসরে (১৬.৬ শতাংশ)। কুলগাম, খুদওয়ানি, রেডওয়ানি, ইয়ারিপোরা ও অন্যান্য কয়েকটি এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাতে ৬ জন জওয়ান ও ১০ জন স্থানীয় যুবক আহত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy