ছবি: সংগৃহীত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরের জঞ্জাল ছড়ানোর ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলির চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩টি ফেসবুক পেজ এবং ২০০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ২৭ হাজার পোস্ট খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। খবরের জঞ্জাল বা জাঙ্ক বলতে কী বোঝাচ্ছেন ওঁরা? শুধু ভুয়ো খবর নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অর্ধসত্য এবং ভুল তথ্যও এর মধ্যে পড়ছে। পড়ছে চক্রাম্তমূলক, উত্তেজক, চরমপন্থী বার্তা।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে বিজেপির পোস্টগুলির মধ্যে ৩৫ শতাংশ বিভেদমূলক এবং চক্রান্তমূলক বার্তা, ১৮ শতাংশ প্রচার এবং সমর্থন চাওয়ার বার্তা, ১০.৫ শতাংশ জাতীয়তাবাদ এবং সেনার নামে বার্তা, ৩.৫ শতাংশ ধর্মীয় এবং ৩.৫ ব্যঙ্গধর্মী। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ প্রচার এবং সমর্থন চাওয়ার বার্তা, ২৮.৫ শতাংশ বিভেদমূলক এবং চক্রান্তমূলক বার্তা এবং ৯ শতাংশ ব্যঙ্গধর্মী।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ফেসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করার ব্যাপারে দেখা গিয়েছে, বিজেপি ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পেশাদার সংবাদমাধ্যম থেকে, ২৮ শতাংশ অসমর্থিত ভুয়ো সূত্র থেকে। কংগ্রেস এক-তৃতীয়াংশ পোস্ট পেশাদার সংবাদমাধ্যম থেকে নেয়, ২১ শতাংশ আসে অসমর্থিত ভুয়ো সূত্র থেকে।
ফেসবুকে শেয়ার করা ছবির ক্ষেত্রে বিজেপির দুই-তৃতীয়াংশই প্রচার এবং সমর্থন চাওয়ার। ১২ শতাংশেরও বেশি ছবি ভুয়ো। কংগ্রেসের শেয়ার করা ৫২ শতাংশ ছবি প্রচার এবং সমর্থন চাওয়ার। ১৪ শতাংশ ছবি ভুয়ো।
লক্ষণীয় হল, গবেষকরা এর সঙ্গে এসপি-বিএসপির ডেটাও পরীক্ষা করেছেন। তাদের রেকর্ড কিন্তু বিজেপি এবং কংগ্রেসের চেয়ে উন্নত। হোয়াটসঅ্যাপে তারা ২০.৫ শতাংশ প্রচার ও সমর্থনমূলক বার্তা দিয়েছে। ১১.৫ শতাংশ বার্তায় বিভেদ এবং চক্রান্তমূলক উপাদান মিলেছে। ফেসবুক লিঙ্ক-এ তারা ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পেশাদার সংবাদমাধ্যমের উপরে নির্ভর করেছে। মাত্র এক শতাংশ ভুয়ো।
জাঙ্ক-এর মানচিত্রে ভারত তবে কোথায় দাঁড়িয়ে? গবেষক বিদ্যা নারায়ণের মন্তব্য, ‘‘আমেরিকা আর ইউরোপের মাঝামাঝি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy